ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভোটের আগে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি নয়, কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসার ১০ দিনের মাথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প কার্যকর করার প্রক্রিয়া নাকি শুরু করে দিয়েছেন মমতা। সেই মর্মে জেলাশাসকদের পাঠানো একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কোভিড প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, দিল্লি থেকে ক্রমাগত রাজনৈতিক চাপ আসছে তবু নিজ কর্তব্য অবিচল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলার ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দিয়ে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, গ্রামে গ্রামে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প পৌঁছে দিতে ভিলেজ রিসোর্স পারসনদের যুক্ত করা হবে। অথচ প্রশাসন কিছু জানেই না।
ওই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০ জনের একটি দল তৈরি করতে হবে। ভিলেজ রিসোর্স পারসনরা (Village Resource Persons) থাকবেন সেই দলে। তাঁরাই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের যাবতীয় কাজ করবেন। নাম নথিভুক্ত করা থেকে নির্দিষ্ট সময় রেশন পৌঁছে দেওয়া সব কাজই করবে তাঁরা। এ জন্য দিনপিছু ৩৮৬ টাকা পাবেন ভিলেজ রিসোর্স পারসনরা। তবে এর পাশাপাশি ভিলেজ রিসোর্স পারসনদের জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে হবে তাঁদের। কিন্তু এই মর্মে রাজ্য এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি বলেই খবর।
করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে মরিয়া রাজ্য সরকার। তাই রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। বাজার-দোকান খোলার সময় বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রেশন দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ছে। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জুন মাস থেকে রেশনের জন্য রাজ্যবাসীকে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। আর তাই ‘দুয়ারে রেশন’ পৌঁছে যাবে। তবে তা নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.