সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গণপিটুনি!
এবার সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় দুই মহিলার গায়ে ধাক্কা লাগায় গণপিটুনি। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়েছিলেন ওই যুবক। কলকাতার হাসপাতালে টানা সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর, শুক্রবার সকালে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয় তাঁরা। এই ঘটনায় শুক্রবার বিশরপাড়ার উত্তর সপ্তগ্রাম এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে সামাল দেয়। নিমতা থানার পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। বিকাশ মাঝি তাঁর ছেলে ধ্রুবকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন পিয়ালি দাস ও সুমিতা মাঝি নামে দুই মহিলা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তাঁদেরকে রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ানোর জন্য সতর্ক করতে সাইকেলে বেল বাজান বিকাশ। কিন্তু গল্পে মশগুল থাকায় সেই শব্দ শুনতে পাননি ওই দুই মহিলা। তাঁদের পাশ কাটাতে গিয়ে দুই মহিলার গায়ে সাইকেলের ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে দুই মহিলার সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়।
অভিযোগ, এরপরই পিয়ালি দাস তাঁর স্বামী সুজয় দাসকে ডেকে আনেন। তিনজনের সঙ্গে বিকাশের কথা কাটাকাটি চরমে ওঠে। এরপরই তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে অভিযুক্ত তিনজন। সেই সময় বিকাশের ছেলে ধ্রুব ছুটে গিয়ে বাড়ি থেকে বিকাশের স্ত্রী ও প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় বিকাশের।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশরপাড়ার উত্তর সপ্তগ্রাম এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিকাশের পরিবার ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিমতা থানার পুলিশ। তাঁরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত তিনজনই ফেরার রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.