সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর গাড়িচালকের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিমতায় শোরগোল। গাড়িচালকের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও ওই চিকিৎসকের পরিবারের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন ওই গাড়িচালক, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিমতার বাসিন্দা এক চিকিৎসকের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালাতেন ওই যুবক। তিনি আদতে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা। তবে রাতবিরেতে প্রয়োজন হলেই চিকিৎসককে বেরোতে হত, তাই গাড়িচালক তাঁর বাড়িতেই থাকতেন। শনিবার দিনভর গাড়িচালকের পরিজনেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে নিমতায় চিকিৎসকের বাড়িতে চলে আসেন তাঁরা। চিকিৎসকের বাড়িতে সেই সময় কেউ ছিলেন না। তাই দরজা ধাক্কা দিয়ে দীর্ঘক্ষণ কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে গাড়িচালকের পরিজনেরা ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন। ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন ঘরের ভিতরেই ঝুলছে ওই গাড়িচালকের দেহ।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় নিমতা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গাড়িচালকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। নিহতের পরিজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকার সুবাদে চিকিৎসকের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল গাড়িচালকের। তার ফলে বাড়ির একাংশ গাড়িচালকের নামে লিখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু তাতে একমত ছিলেন না চিকিৎসকের এক আত্মীয়। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে চিকিৎসকের ওই আত্মীয়ের সঙ্গে গাড়িচালকের বাকবিতণ্ডাও লেগেছিল। তার জেরেই গাড়িচালককে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ গাড়িচালকের পরিজনদের। এই ঘটনায় যদিও এখনও মৃতের পরিবারের তরফে খুনের মামলা রুজু করা হয়নি। তবে পুলিশের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.