অরূপ বসাক, মালবাজার: বছর দুই আগে মোটা টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। সেই টাকা তুলতে এসে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর। ব্যাংকের দাবি, তাঁর নামে নাকি কোনও ফিক্সড ডিপোজিটই নেই! উলটে ওই ব্যবসায়ী সেই টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন বলেই দাবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। কিন্তু নাছোড়বান্দা সেই ব্যবসায়ীও। টাকা ফেরতের দাবিতে ব্যাংকের সামনে এবার ধরনায় বসেছেন তিনি। ব্যাংকে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তাঁর পালটা প্রশ্ন, ফিক্সড ডিপোজিটে যদি টাকা না জমা করি, তাহলে ডিপোজিটের সার্টিফিকেট এল কীভাবে!
রাজ্যজুড়ে একের পর এক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। কোথাও এটিএম কার্ড ক্লোন করা হচ্ছে তো কোথাও আবার ওটিপি নিয়ে অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতায় গত চারদিনে ৪৪ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে গ্রাহকদের। তাঁদের মনে প্রশ্ন, আমানত গচ্ছিত রাখার জন্য ব্যাংক কি আদৌ নিরাপদ? ব্যাংকের গ্রাহকদের মনে নতুন করে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে মালবাজারের এই ঘটনা।
মাল ব্লকের বড়দিঘি এলাকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সামনে ধরনায় বসেন আমানতকারী গোপাল শর্মা। তাঁর অভিযোগ, “আমি বছর দুই আগে ২০ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলাম। এখন প্রয়োজনে টাকা তুলতে এসেছি। ব্যাংকের কর্মীরা বলছেন, টাকা নেই। অথচ আমার কাছে ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট আছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “আমি একাধিক এসে ফিরে গিয়েছি। গরিব মানুষ আমি, কী করব!”
এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার প্রদীপ ভৌমিক বলেন, “উনি টাকা জমা করেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকের সামান্য ভুলে সেই টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের বদলে ওনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যায়। এরপর উনি বিভিন্ন সময়ে এটিএমের সাহায্যে সেই টাকা তুলে নিয়েছেন। সেই স্টেটমেন্ট ওনাকে দেওয়া হয়েছে। ওঁর আর কোনও টাকা ডিপোজিট নেই। কী করে টাকা দেওয়া যাবে।” তবে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের প্রশ্ন, লোকটি ফিক্সড ডিপোজিট করলেন। সার্টিফিকেট পেলেন। অথচ এখন ব্যাংক বলছে টাকা নেই। এটা আশ্চর্য ঘটনা। ওনার টাকা ফেরত পাওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.