বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শখ করে নতুন বাড়ি করেছিলেন। এবার ছুটিতে গ্রামে ফিরে সেই বাড়িতে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। তার আগেই কাশ্মীর (Kashmir) থেকে নদিয়ায় (Nadia) এসে পৌঁছল দুঃসংবাদ। জানা গেল, কর্মস্থলেই মৃত্যু হয়েছে জওয়ান বিশ্বজিৎ দত্তের। স্বামীর মৃত্যুর খবর বিশ্বাসই করতে পারছেন না জওয়ানের স্ত্রী। হাসি-খুশি প্রাণোচ্ছল ছেলেটি আর এলাকায় ফিরবে না, মানতে পারছে না প্রতিবেশীরাও। প্রত্যেকে এখন অপেক্ষার প্রহর গুণছে যে, কখন গ্রামে ফেরে কফিনবন্দি দেহ।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কাশ্মীর থেকে ফোন আসে নদিয়ার কালীগঞ্জের খোরদবেগিয়া গ্রামের দত্ত পরিবারে। সেই ফোনে জানানো হয়, পান্থচকে কর্মরত সিআরপিএফ জওয়ান বিশ্বজিৎ দত্ত আর নেই। গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? ঠিক কী হয়েছিল ওই দিন? সে বিষয়ে ফোনে কোনও সদুত্তর পাননি জওয়ানের স্ত্রী পম্পা। ফলে তাঁর মনে এখন একটাই প্রশ্ন, “ও কেন এমন কাজ করবে?” ওই বধূর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। কান্না ভেজা চোখে পম্পাদেবীর আরতি, তদন্ত করা হোক তাঁর স্বামীর মৃত্যুর। তবেই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসবে বলেই দাবি তাঁর। একই কথা বলছেন স্থানীয়রাও।
প্রায় ১৬ বছর আগে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। এরপর বিয়ে-দুই সন্তান, দিব্যি চলছিল সংসার। বছর চারেক আগে তাঁর পোস্টিং হয় কাশ্মীরে। এরপর ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সুবিধার জন্য নদিয়ার দেবগ্রামে একটি বাড়ি করেছিলেন ওই জওয়ান। এরই মাঝে আচমকা এই ঘটনা বদলে দিল গোটা পরিবারের ছবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.