সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছিল সিপিএমের (CPM) দলীয় কার্যালয়। বর্তমানে খুব বেশি কর্মীর আনাগোনা না থাকলেও মাঝে মধ্যে দু-চারজন আসতেন। ধূপগুড়ির গয়েরকাটার সেই পার্টি অফিসই রাতারাতি হয়ে গেল ভাড়াবাড়ি! দিব্যি সেখানে জীবযাপন শুরু করেছেন ৬ জন। ভাড়া ২ হাজার টাকা! কে ভাড়া দিলেন কার্যালয়? তা এখনও সকলেরই অজানা।
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি ব্লকের গয়েরকাটার ওই সিপিএমের কার্যালয়টি বহুদিনের পুরনো। এককালে ওই এই এলাকায় সিপিএমের ভাল প্রভাব থাকায় লোকজনের যাতায়াত লেগেই থাকত ওই কার্যালয়ে। ২০১১ সালে রাজ্যর ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে যাওয়ার পরও ২৭ আসন বিশিষ্ট ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত বামেদের দখলে ছিল। পরবর্তীতে কর্মীরা দলত্যাগ করায় ওই পঞ্চায়েত বামেদের হাতছাড়া হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে কর্মীদের আনাগোনা কমতে শুরু করে। এখন হয়তো ৭ দিনে ওই কার্যালয়ে একজনের দেখা মিলত।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে স্থানীয়দের নজরে পড়ে ওই কার্যালয় প্লাস্টিকের জিনিসে ভরা। দেখা মেলে কয়েকজনের। এরপরই জানা যায়, দলীয় কার্যালয়টি নাকি কয়েকমাসের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে ওই ফেরিওয়ালাদের! ভাড়া ২ হাজার টাকা। এবিষয়ে এক ভাড়াটিয়া জানান, তাঁদের বিক্রির জিনিস ফুরিয়ে গেলেই কার্যালয় ছেড়ে দেবেন। কিন্তু দলীয় কার্যালয় কি ভাড়া দেওয়া যায়? কে-ই বা দিলেন ভাড়া? এপ্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির সিপিএম সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, “এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। দলীয় কার্যালয় ভাড়া দেওয়ার অধিকার কারও নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে।” এ কাণ্ডের সঙ্গে যার-ই যোগ থাকুক না কেন, গোটা ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে বাম শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.