সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌজন্যতার নজির গড়লেন হাবড়ার (Habra) এক সিপিএম নেতা। প্রতিপক্ষ তৃণমূলের এক দাপুটে নেতা তথা হাবড়ার পুরসভার প্রশাসক করোনা আক্রান্ত শুনেই প্লাজমা দিতে হাসপাতালে ছুটলেন ওই ব্যক্তি। যদিও বিশেষ কারণে চিকিৎসকরা তাঁর প্লাজমা নেননি।
একটা সময়ে তৃণমূলের মূল লড়াই-ই ছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। তাঁদের পরাজিত করেই বাংলার দায়িত্ব হাতে তুলে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের কর্মীদের মধ্যেও মনোমালিন্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু মানবিকতা, প্রাণের ঊর্ধ্বে যে কিছুই নয়, এদিন তাই বোঝালেন হাবড়ার সিপিএম নেতা ঋজিনন্দন বিশ্বাস। সম্প্রতি করোনা (Coronavirus) থাবা বসিয়েছে হাবড়া পুরসভার প্রশাসক নীলিমেশ দাসের শরীরে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালে ভরতি তিনি। সেকথা জানার পরই নীলিমেশবাবুকে প্লাজমা দিতে হাসপাতালে ছোটেন ঋজিনন্দন। কিন্তু চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান তাঁর প্লাজমা নেওয়া যাবে না। কারণ, লালারস পরীক্ষায় বোঝা যায়নি যে তিনি সংক্রংমিত হয়েছিলেন।
চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন ঋজিনন্দন। তাঁর কথায়, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়লেও তাঁকে করোনা রোগী হিসেবেই বিচার করা হয়। তাই চিকিৎসকদের যুক্তি মানতে নারাজ তিনি। তবে তাঁর এই উদ্যোগে খুশি গোটা হাবড়া। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুভেচ্ছার বন্যা। “এটাই হাবড়ার রাজনীতি”, বলেন নীলিমেশবাবু। উল্লেখ্য, অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা ধরা পড়ে ঋজিনন্দনের। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.