ছবি: প্রতীকী
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: অক্সিজেনের অভাবে পথেই মৃত্যু হল করোনা রোগীর (Covid Patient)। হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সেই দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন চালক। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। নিহতের পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই প্রাণ গিয়েছে কোভিড রোগী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার।
শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি শহরের ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে গত ২০ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সন্ধেয় তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে অনির্বাণকে নিয়ে রওনা দেন তাঁর আত্মীয়রা। পরিবারের দাবি, শিলিগুড়ি ঢোকার মুখে অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। ছটফট করে পথেই মৃত্যু হয় অনির্বাণের। অভিযোগ অ্যাম্বুল্যান্স চালককে নিগ্রহ করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্স ফেলে পালিয়ে যান চালক।
ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন মৃতের শাশুড়ি বনানী বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বেসরকারি সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্স করে দেহ জলপাইগুড়ি বিশ্ব বাংলা কোভিড হাসপাতালেই ফের নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা মেলেনি বলেই অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর। তিনি জানান, নিহত রোগীর কিডনির সমস্যা ছিল। কোমর্বিডিটিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স চালককে নিগ্রহ করার পালটা অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। নিহতের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন হাসপাতাল সুপার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.