প্রতীকী ছবি।
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: জামাইষষ্ঠীর রাতে আত্মঘাতী হলেন স্বামী-স্ত্রী! বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বাগআচড়া লক্ষ্মীনাথ পুর কলাতলা এলাকার ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে শাশুড়ির ঝগড়ার জন্য দুজনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম পলাশ চৌধুরী ও সাথী চৌধুরীর। বছরখানেক আগে দেখাশোনা করে পলাশের সঙ্গে বিয়ে হয় সাথীর। মেয়ের বাড়ির লোকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে সাথীর উপর বিভিন্ন কারণে অত্যাচার করতেন শাশুড়ি অঞ্জলি চৌধুরী। পণের দাবিতেও অত্যাচারও চলত বলে অভিযোগ তাঁদের। ছেলের সঙ্গেও অঞ্জলিদেবীর ঝামেলা চলত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে ছেলে ও বউমার সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে শাশুড়ি অঞ্জলীর। রাতে স্বামী-স্ত্রী তাঁরা ছাদে গিয়ে ঘোমান। এর পরেই সকালে নিজেদের ঘর থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কখন নীচে নেমে গলায় ফাঁস দিয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা। খবর পেয়ে পাশের এলাকার বাসিন্দা সাথীর মাসি ছুটে আসেন। তিনি দাবি করেন শ্বশুর-শাশুড়ির অত্যাচারেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে মৃত যুবকের মা অঞ্জলি চৌধুরী জানান, “বউমা কোনও কাজ জানত না। আমার সঙ্গে কয়েকবার ঝামেলা বাঁধত। গতকাল বিকেলে একটু কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ছেলে বউমা ঘরেই ছিল। কখন এই ঘটনা ঘটল তা জানি না।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বিয়ে আসার পর থেকেই বউটার উপরে অত্যাচার চালত শাশুড়ি। তবে স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর কোনও ঝামেলা ছিল না বলেই জানি। বুধবার বিকেলেও ছেলে ও বউমার সঙ্গে শাশুরির ঝামেলা বাঁধে। তার পর সকালে শুনতে পারি স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।” দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার (santipur police) পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.