ছবি: প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের ভাট্টপাড়ায়। বুধবার দুপুরে বাড়ি ফিরে ওই দম্পতির ছেলে দেখে যে, বিছানায় পড়ে রয়েছে মায়ের দেহ। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে বাবা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু কারণে এই জোড়া মৃত্যু? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার নবদ্বীপের ভাট্টপাড়ার বাসিন্দা ওই দম্পতির নাম সুভাষ ঘোষ ও স্বপ্না ঘোষ। পেশায় লরিচালক সুভাষবাবু। ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভট্টপাড়ায় ভাড়া থাকতেন ওই ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে বাড়িতে ছিল না ওই দম্পতির উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছেলে। বাড়ি ফিরে দেখে বিছানায় পড়ে রয়েছে মায়ের মৃতদেহ। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে বাবা। তড়িঘড়ি প্রতিবেশীদের খবর দেয় সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুভাষবাবু শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কেন? প্রতিবেশী ও পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই রহস্যভেদের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মৃতদের সন্তানের কথায়, “দুপুরে বন্ধুর বাড়ি থেকে আমি মাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু তখন মায়ের ফোন বন্ধ ছিল। কথা বলার জন্য আমি প্রতিবেশী এক বন্ধুকে ফোন করেছিলাম। তার ফোন থেকে মায়ের সঙ্গে কথা বলি। এর কিছুক্ষণ পরেই আমি বাড়িতে ফিরে দেখি এই দৃশ্য। কীভাবে কী হয়ে গেল, আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা। ওদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়েছে বলেও আমি জানি না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই পরিবারের কেউই প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মিশত না। মানসিক কিছু সমস্যাও ছিল সুভাষ ঘোষের। তবে এমন কিছু ঘটবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.