ছবি: প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। সন্ধেয় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রীর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার চাকদহ (Chakdaha) থানার রথতলা এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনার পাল্লা গ্রামের দেবাশিস রায়ের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় চাকদহের নারকেলডাঙার বর্ণালী ঘোষ। দেবাশিস কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে রেলের চাকরি করতেন।
অভিযোগ, দেবাশিস স্ত্রীকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে রাখতে চায়। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী থাকতে চাইতেন না বলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত। বাধ্য হয়ে স্ত্রী ও মাকে নিয়ে চাকদহের রথতলা এলাকায় মাসখানেক আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন ওই রেলকর্মী।
শনিবার সকালে চাকদহ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দেবাশিস ও তাঁর মা নীহারবালা রায় আত্মহত্যা করতে যান। কোনওক্রমে বেঁচে যান মা নীহারবালা। তবে ছেলে দেবাশিসের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। এদিকে, সকাল থেকেই মেয়ের ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও পাননি বর্ণালীর বাপেরবাড়ির লোকজন। বাধ্য হয়ে সন্ধেয় বর্ণালীর বাপেরবাড়ির লোকজন রথতলার ওই ভাড়া বাড়িতে যান। তাঁরা দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। এরপর জানালা দিয়ে উঁকি দেন তাঁরা। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী রায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন।
খবর দেওয়া হয় চাকদহ থানায়। পুলিশ শনিবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বর্ণালী দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহটি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ওই রেলকর্মীর মা গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.