Advertisement
Advertisement
পরকীয়া

দেওর-বউদির পরকীয়ায় বাধা, আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের

লোকলজ্জার কথা ভেবে দু'জনের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানান পরিজনেরা।

A couple attempt to suicide in East Burdwan's Valusani

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 25, 2019 11:24 am
  • Updated:October 25, 2019 1:31 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: বছরদুয়েক আগে বিয়ে হয়েছে দাদার। তারপর থেকেই বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ভাই। প্রথম প্রথম গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন দেওর-বউদি। তবে তারপর তাঁরা স্থির করেন দু’জনে বিয়ে করবেন। পরিবারের সকলকে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তাঁরা। তবে তা মানতে পারেনি পরিবার। তার জেরে একসঙ্গে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন দেওর-বউদি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার ভালসুনি গ্রামের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ভালসুনি গ্রামের বাসিন্দা রণজিৎ দাসের তিন ভাই। বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মাও। যৌথ পরিবারের বড় ছেলে রবি এবং মেজো ছেলে রতন চাষবাস করেন। অবিবাহিত রণজিৎ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তবে কর্মসূত্রে রণজিৎ ভিনরাজ্যেই থাকতেন। মাসপাঁচেক আগে বাড়িতে আসার পর আর কাজে যাননি। পরিবার সূত্রে খবর, দু’বছর আগে মেজো ছেলে রতনের বিয়ে হয় মেমারি থানার সামন্তী গ্রামের মেয়ে লক্ষ্মীর সঙ্গে। তাঁদের ৮ মাসের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে দেওর রণজিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই মহিলা। দাদার বিয়ের দু-তিন মাস পর ভিনরাজ্যে কাজে চলে যান রণজিৎ। তবে ফোনে রোজই দু’জনের কথা হত। রণজিৎ বলেন, “আমরা ঠিক করেছিলাম এবার আর লুকিয়ে প্রেম নয়। দু’জনে বিয়ে করব। সেকথা বাড়িতে জানিয়েও দিয়েছিলাম। কিন্তু লোকলজ্জার কারণ দেখিয়ে পরিবার তা মানতে চাইছিল না। সম্পর্ক থেকে দু’জনকে সরে আসতে বলা হচ্ছিল। তাই দু’জনে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় পরিবারের নজর এড়িয়ে বাড়ি থেকে একসঙ্গে বেড়িয়ে পড়েন রণজিৎ ও লক্ষ্মী। তাঁদের দু’জনের হাতে ছিল একটি করে ধারালো ছুরি। বাড়ি থেকে একটু দূরে গিয়ে তাঁরা নিজেদের গলায় চালিয়ে দেন ছুরি। লক্ষ্মী বলেন, “প্রথমে নিজের গলা কাটি। তারপর রণজিতের। দু’জনের গলা থেকে অঝোরে রক্ত পড়তে থাকে। হাত কাঁপছে। তখন বাড়ি থেকে ফোন যায় রণজিতের মোবাইলে। রণজিৎ তখন বাড়ির লোকজনকে এই ঘটনাটি জানায়। সঙ্গে সঙ্গে সবাই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে ওরা।”

[আরও পড়ুন: পাহাড়ি পথে জগিং মমতার, ভাইরাল ভিডিও]

মহিলার স্বামী রতন দাস অবশ্য স্ত্রীর পরকীয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ভাই এবং আমার স্ত্রীর মধ্যে এই সম্পর্কের কথা আমি জানতাম না। কীভাবে যে এসব ঘটল খুব অবাক লাগছে।” জখম ওই দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement