সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর সাতাত্তরের বৃদ্ধা। ভরতি করা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সাতদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়ে যান তিনি। তবে বাড়ি ফেরার তিনদিনের মাথায় ফের অসুস্থতা। প্রবল শ্বাসকষ্টে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই বৃদ্ধা। সরকারি হাসপাতালের উদাসীনতাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ পরিদনদের। যদিও হাসপাতালের তরফে অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াধরার বাসিন্দা পরিবালা মাহাতো। তাঁর ছেলে অমিয় কর্মসূত্রে খড়গপুরে থাকেন। ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফেরেন তিনি। চারদিন পরই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। করোনা পরীক্ষা করে তাঁর ফল পজিটিভ আসে। ওইদিনই তিনি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Jhargram Super Speciality Hospital) ভরতি হন। তার ঠিক পরেরদিনই পরিবালা দেবীরও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। জানা যায়, তিনিও করোনা আক্রান্ত। ওইদিন একই হাসপাতালে ভরতি করা হয় বৃদ্ধাকেও। সাতদিন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ছেলে এবং মা। তারপর কোনও পরীক্ষা ছাড়াই সুস্থ বলে চিকিৎসকরা জানান বলেই দাবি অমিয় মাহাতোর। তবে বাড়ি ফেরার তিনদিনের মাথায় বৃদ্ধার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতেই মারা যান তিনি। তাঁর দাবি, মা সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও ছেড়ে দেওয়ার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের তরফে সঠিক পরিষেবা পেলে এ কাণ্ড ঘটত না বলেও অভিযোগ তাঁর।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি। তবে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সুপার মৃতার পরিবারের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, একজন রোগীর ছুটি হওয়ার পর কী কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হল সে বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.