অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: চূড়ান্ত ‘হেনস্তা’র শিকার করোনা (Coronavirus) রোগী। হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য ভাড়াবাড়িতে মিলল না ঠাঁই। পাড়া থেকেও দূর দূর করে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। এরপর বাধ্য হয়ে বালি থানার দ্বারস্থ হন যুবক। তবে পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বালি (Bally) থানার সামনেই দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন তিনি। পরে যদিও দুই যুবকের তত্ত্বাবধানে বালটিকুরি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন ওই যুবক।
হাওড়ার বালি থানার দেওয়ানগাছিতলার বাসিন্দা ওই যুবকের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তাই তাঁর সন্দেহ হয়।১ জুলাই জ্বর হওয়ায় জয়সওয়াল হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। সত্যবালা আইডি হাসপাতালে যান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেয়। ওই যুবক যদিও বারবারেই জানান, তিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। তাই হোম আইসোলেশনে হয়তো তাঁকে বাড়িমালিক থাকতে দেবেন না। তবে সে কথায় কান দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে ভাড়াবাড়িতে ফিরে যান যুবক।
তবে করোনা সংক্রমণের কথা জানার পর আর তাঁকে বাড়িতে থাকতে দিতে রাজি হননি বাড়িমালিক। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকী পাড়া থেকেও তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে বালি থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু ওই যুবকের দাবি, বালি থানার পুলিশ করোনা আক্রান্ত যুবককে শুধুমাত্র একটি ফোন নম্বর দিয়েই কাজ শেষ করে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে না পারলেও পুলিশ প্রথমে সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে থানার সামনেই দীর্ঘক্ষণ ঠায় বসেছিলেন ওই যুবক। এরপর স্থানীয় দুই যুবক তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।যদিও পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানে ওই যুবককে বালটিকুরি হাসপাতালেই পাঠানো হয়। সেখানেই ভরতি রয়েছেন যুবক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.