অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: রাস্তায় দাঁড়িয়ে বহু মানুষ। তাঁর মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক উর্দিধারী। কেউ আবার ফুল ছুঁড়ছে। মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায়ের বালাই নেই। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার এমনই কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। যদিও ওই ছবি এবং ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
গত সপ্তাহে পুলিশ নিগ্রহের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য অন্তত ২০০ জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার কথা হয় আগেই। কমিটির সদস্যদের দেওয়া হয় টি-শার্টও। এদিকে, রবিবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শনে টিকিয়াপাড়ায় গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। ডিসি হেড কোয়ার্টার প্রিয়ব্রত রায়ের দাবি, সেই সময়ে বেশ কয়েকজন তাঁদের দেখে এগিয়ে আসেন। ভিড় জমান তাঁদের ঘিরে। পরে যদিও পুলিশ তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বললে, তাঁরা চলে যান।
এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ছবি এবং ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ভাইরাল সেই ছবি এবং ভিডিও নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় জোর আলোচনা। সামাজিক দূরত্ব কেন বজায় রাখা হচ্ছে না, তা নিয়ে আলোচনায় সরব নেটিজেনরা। যদিও পুলিশের দাবি, নেটিজেনদের দাবি ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে লকডাউন বিধি লঙ্ঘন নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। অভিযোগ, সেদিনও লকডাউন অমান্য করে বহু মানুষ রাস্তায় ভিড় জমান। তখনই লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। পুলিশের ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও বোতল ছোঁড়া হয়। দু’জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ ও র্যাফ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয় যে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। সেদিন রাত থেকেই এলাকায় শুরু হয় ধরপাকড়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর গভীর রাতে টিকিয়াপাড়া থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.