আকাশনীল ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর: জগদ্দলে ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় রহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। রবিবার ভোরে উত্তরপাড়ায় গঙ্গা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অভিষেক চৌবের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার ৩ বন্ধু। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, মুক্তিপণের জন্য গঙ্গায় ফেলে অভিষেককে খুন করেছে তারা।
[গ্রামে পরপর মৃত্যু, সালিশি সভা ডেকে ৩ মহিলাকে ডাইনি ঘোষণা]
উত্তর ২৪ পরগনা জগদ্দলের পূর্বাশা পাড়ায় বাড়ি অভিষেক চৌবের। স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি বিকেলে জগদ্দলের ৪ নম্বর জুটমিল লাইনে পড়তে গিয়েছিল অভিষেক। কিন্তু, আর ফেরেনি সে। রাতে অভিষেকের মোবাইল নম্বর থেকে একটি ফোন পান তার জামাইবাবু। ফোনে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণ না পেলে, অভিষেককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। ২১ তারিখ জগদ্দল থানায় অভিষেক চৌবেকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করেন পরিবারের লোকেরা।
[যাত্রী বোঝাই ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ, ঘটনাস্থলেই মৃত ২]
রবিবার ভোরে উত্তরপাড়ায় গঙ্গা থেকে এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রের বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, জগদ্দল থানায় গিয়ে ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করেন অভিষেকের বাড়ির লোকেরা। এরপরই মোবাইলের সূত্রে ধরে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতেরা হল মহম্মদ সরফরাজ, মহম্মদ উকিল, মহম্মদ জাইস। এরা প্রত্যেকেই অভিষেকের বন্ধু। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় মুক্তিপণের জন্য অভিষেককে খুন করার স্বীকার করেছে ধৃতেরা। অভিযুক্তরা জানিয়েছে, ঘটনার দিন টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে অভিষেককে অপহরণ করে তারা। এরপর হুগলির জুবিলি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে গঙ্গায় ফেলে দেয় ওই ৩ যুবক। খুনের পর, অভিষেকের মোবাইল থেকে তার বাড়িতে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। বস্তুত, মৃতের মোবাইল থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন অভিষেকের বাড়ির লোকেরাও। পরিবারের লোকেদের দাবি, পরে বেশ কয়েকবার অভিষেকের নম্বরে ফোন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, ফোন সুইচড অফ ছিল।
[বেলডাঙায় শৌচাগার তৈরিতে জামাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন শ্বশুর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.