দেবব্রত দাস, খাতড়া: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার তালডাংরার জফলা গ্রাম। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বছর দেড়েকের কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার পুলিশ। সন্তানকে হত্যার অভিযোগ তুলে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃত শিশুটির বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাঁকুড়ার তালডাংরার বাসিন্দা ভরত মাকুড়। বছর দেড়েক আগে তাঁর একটি কন্যা সন্তান হয়। জন্ম থেকেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছিল শিশুটি। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে ভরতের স্ত্রী খুশি ছিলেন না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতোই সোমবার রাতেও মেয়ের পাশেই ঘুমিয়েছিলেন ভরতবাবু। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে উঠে আর মেয়েকে দেখতে পাননি। স্ত্রীর কাছে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করেও কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। বরং স্ত্রীর উত্তর শুনেই সন্দেহ দানা বাঁধে ভরতবাবুর মনে। এরপর এলাকায় মেয়ের খোঁজখবর করেন তিনি। কিন্তু কোথাও সন্ধান মেলেনি শিশুরটির। দীর্ঘক্ষণ পর বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু কীভাবে মারা গেল বছর দেড়েকের শিশুটি? স্ত্রীর বিরুদ্ধেই তালডাংরা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ভরত মাকুড়। তাঁর বক্তব্য, “আমার মেয়ে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ। মেয়ের জন্মের পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল স্ত্রী। সেই কারণেই মেয়েকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ জলে ফেলে দিয়েছে।” ভরতবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, মেয়ের অসুস্থতার কারণে মানসিক অবসাদ থেকেই সন্তানকে খুনের করেছে ওই মহিলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.