ছবি: প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বাড়ির পাশের ক্লাবেই পরপর তিনটি গুলি প্রাণ কেড়েছে নদিয়ার (Nadia) চাকদহের লটারি বিক্রেতার। কিন্তু কী কারণে এই খুন? স্রেফ মদের আসরে বচসার জেরে এই কাণ্ড? নাকি পরিকল্পনামাফিক এই খুন? মৃতের স্ত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে সেই রহস্যের জট খোলার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার চাকদহের হিংনারা এলাকায় বাড়ির পাশের ক্লাবেই ছিলেন পেশায় লটারি বিক্রেতা অমর দাস। মদ-মাংস নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আসরে মেতেছিলেন তিনি। আচমকা স্থানীয়দের কানে যায় গুলির শব্দ। ছুটে ক্লাবে পৌঁছতেই তাঁরা দেখতে পান রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। মেঝেতে পড়ে রয়েছে অমরের নিথর দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল, মদের আসরে বচসার জেরে তিনটি গুলি চালানো হয়েছিল অমরকে লক্ষ্য করে। কিন্তু মৃতের স্ত্রীর বক্তব্যে দানা বাঁধে রহস্য।
ঠিক কী জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী? অমরের স্ত্রী লক্ষ্মী দাসের কথায়, “অমর ছোট থেকেই মাসি মালতি দাসের কাছে মানুষ। ওঁর আসল বাড়ি কল্যাণী সীমান্ত এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরে কিছুটা আতঙ্কের মধ্যে ছিল আমার স্বামী। বিয়ের আগে ওর বেশ কিছু শত্রু ছিল। তবে এখন কোনও শত্রু নেই বলেই জানি। সবার সঙ্গেই মিশত।” এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, কাদের সঙ্গে শত্রুতা ছিল অমরের? কারণই বা কী? এই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধান করতেই প্রকাশ্যে আসে নতুন তথ্য। জানা যায়, এলাকার এক কুখ্যাত সমাজবিরোধীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মৃতের। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বেআইনি ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়েছিলেন অমর। কিন্তু কী সেই ব্যবসা? তবে কী গোটা ঘটনার পিছনে যোগ রয়েছে ওই দুষ্কৃতীর? এই তথ্যের সন্ধানে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.