ফাইল ছবি
বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ভাঙচুর দিয়েই বর্ষবরণ কোচবিহারে (Cooch Behar)। সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। শুক্রবার রাতে দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। রাজনৈতিক সংঘর্ষে চলে গোলাগুলি। অভিযোগ, তৃণমূলের দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যদিও সে দাবি খারিজ করেছে ঘাসফুল শিবির। এই ঘটনায় এক সবজি বিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
তার আগে শুক্রবার সকালে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের খাসতালুক দিনহাটা (Dinhata) মহকুমার ভেটাগুড়িতে বিজেপি পার্টি অফিসে ভাঙচুরের প্রতিবাদে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ করা হয়। সাংসদের বাড়ির সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। উত্তেজনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভেটাগুড়ি বাজার। প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা পথে নামেন। রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধের দাবিতে তারা কোচবিহার-দিনহাটা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বেলা বারোটা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা অবরোধের জেরে যানজটে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা অবরোধ তুলে নেন। এদিন, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে স্থানীয় বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার নেতৃত্বে বের করা মিছিল থেকে বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা সাংসদের বাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
বিধায়ক জানান, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস (TMC Foundation Day) উপলক্ষে এলাকায় বিশাল মিছিল বের করা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়। ওই সময় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে দিয়ে টোটোতে কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। সাংসদের বাড়ি থেকে বিজেপি কর্মীরা বেরিয়ে তাদের আটক করে এবং টোটো ভাঙচুর করে মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদের। ঘটনার পর বিজেপি কর্মীরা নিজেদের কার্যালয় ভেঙে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। যদিও ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ব্যবসায়ীদের জোর করে বিজেপি পথ অবরোধ করতে বাধ্য করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) অবশ্য বলেন, “নববর্ষের সূচনা ও কল্পতরু উৎসবের সময়ও তৃণমূল হিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। ভাঙচুর করা হয়েছে কার্যালয়ে। গোটা রাজ্যের সঙ্গে কোচবিহার জেলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.