রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ফের সমুদ্রে বিপদ। স্নান করতে নেমে সমুদ্রে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণির ছাত্র। তলিয়ে যাওয়ার মিনিট দশেক পর দেহ উদ্ধার হয়। আপাতত তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় নাবালকের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, নিহত ওই নাবালক বছর ষোলোর সাগর ঢালি। কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্ক এলাকার বাসিন্দা সে। সিবিএসসি বোর্ডের ছাত্র সাগর। মামা ননীগোপাল ঘোষ ও মামি সীমা ঘোষের সঙ্গে শুক্রবার সকালেই দিঘা বেড়াতে গিয়েছিল সে। এদিনই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উদয়পুরে বেড়াতে যায়। স্নানে নেমে ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে বেশ খানিকটা দূরে এগিয়ে যায় সাগর। আচমকা তার মামা সেটি টের পান। ভাগ্নেকে তলিয়ে যেতে দেখে তার মামা তাকে রুখতে উদ্যত হন। তাদের সমুদ্র থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আচমকা একটি বড় ঢেউ চলে আসে। আর তার ফলে আরও দূরে চলে যায় সাগর।
নাবালকের মামা ননীগোপাল বলেন, “সে সময় চিৎকার করলেও উদ্ধারের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। স্থানীয় তালসারি মেরিন থানার পুলিশও ভাল ব্যবহার করেনি। পুলিশের সাহায্য পেলে হয়তো ভাগ্নেকে এভাবে হারাতে হত না।” তলিয়ে যাওয়ার মিনিট দশেক পর দিঘার দিকে ভেসে আসে সাগরের দেহ। খবর পেয়ে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ ও নুলিয়ারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নাবালককে উদ্ধার করা হয়। ওই ছাত্রকে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালকের। এরপর তার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে মে মাসে ‘অশনি’ সংকেতের মাঝে মন্দারমণির সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। নিহত কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার বাসিন্দা স্বাধীন সরফরাজ (২৩) এবং ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সৃষ্টি গুপ্তা (২২)। উত্তাল ঢেউয়ে বেপরোয়াভাবে সমুদ্র উপভোগ করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান দু’জনে। তাঁদের দেহ উদ্ধার করেন নুলিয়ারা। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণহানিই হয় দু’জনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.