বিক্রম রায়, কোচবিহার: হোমে এক কিশোরকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের ঘুঘুমারি এলাকায়। ইতিমধ্যেই কিশোরের পরিবারের তরফে হোমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, খুন নয় আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালক।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারির নিরাশ্রয় নারী ও শিশুসেবা ভবন নামে ওই হোমে থাকত মহাদেব মাহাতো নামে ওই কিশোর। সোমবার সকালে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হোমের তরফে ওই কিশোরকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শুরু হয় চিকিৎসা। এরপর কিশোরের বাড়িতে জানানো হয়, গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে। খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যায় পরিবারের সদস্যরা। পরে রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। এরপরই হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কিশোরের পরিবারের সদস্যরা।
কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, হোমের ভিতরই ইচ্ছাকৃতভাবে ওই কিশোরের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানান, কিছুদিন আগেই হোমের একটি ঘড়ি চুরি যায়। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল ওই কিশোরের। অভিযোগ, তারপর থেকেই কিশোরের সঙ্গে অশালীন আচরণ করত সহপাঠিরা। সেই ঘটনার জেরেই কিশোরের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্যদিনের মতোই স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে খেতে বসেছিল ওই কিশোর। এরপর সে অফিসঘরে যায় পাম্প বন্ধ করতে। কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলে মহাদেব না ফেরায় সন্দেহ হয় সকলের। এরপরই হোমের সদস্যরা অফিসঘরে গিয়ে দগ্ধ অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ছবি-দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.