ছবি: প্রতীকী
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এতদিন বনাঞ্চলজুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে সে। গরুমারা যেন বনদপ্তরের নাম দেওয়া গন্ডার (Rhinoceros) ‘ডন’-এর আতঙ্কে কাঁপত। বুধবার সকালেই মিলল দুঃসংবাদ। রুটিন তল্লাশির সময় সেই ‘ডন’-এরই দেহ উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা। খড়্গটি যদিও অক্ষত রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে বনদপ্তর।
অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সকালে বনকর্মীরা রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় জাতীয় উদ্যানের জিরো বাঁধ এলাকা থেকে গরুমারার ‘ডন’ নামে পরিচিত গন্ডারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। এরপর বন আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গরুমারা ডিভিশনের ডিএফও নিশা গোস্বামী। গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী এবং নাগরাকাটা থানার ওসি সঞ্জু বর্মনও ঘটনাস্থলে যান। ডনকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে গন্ডারটির। যদিও ময়নাতদন্তের পরেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব হবে। চেহারা এবং মেজাজের কারণে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ‘ডন’ নামে পরিচিত ছিল বছর পঁয়ত্রিশের এই গন্ডারটি। ডনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া বনকর্মী মহলে। ডনের মৃত্যুতে গরুমারায় গন্ডারের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো বাহান্ন।
এদিকে, মঙ্গলবার সাতসকালে তিনটি বাইসন গরুমারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খড়িয়ারবন্দর বনাঞ্চল হয়ে বাতাবাড়ি চা বাগান এলাকায় চলে আসে। মানুষের হইচই ও তাড়া খেয়ে বাইসনগুলি এলাকায় দাপাদাপি শুরু করে। খবর পেয়ে বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া স্কোয়াড ও খড়িয়ারবন্দর বিটের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই বাইসনের তাণ্ডবে জখম হন এক গ্রামবাসী। মারা যায় একটি গরু। বাইসন তছনছ করে একটি ঘরও। তাতেই ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। বনকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। জখম হন মহম্মদ দুলাল নামে এক বনকর্মী। অন্যান্য বনকর্মীরাও হেনস্তার শিকার হন। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেটেলি থানার পুলিশ, এসএসবি ৪৬ ব্যাটেলিয়ন, গরুমারা নর্থ রেঞ্জ, চালসা রেঞ্জ ও মাল স্কোয়াডের বনকর্মীরা পৌঁছন। তাঁরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.