ছবি: প্রতীকী
রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কাশীপুরের পর খেজুরি। যুব মোর্চা নেতার পর উদ্ধার বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহ। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ৷ তিনি এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা করেছেন ওই বিজেপি কর্মী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি কর্মী বছর বাইশের দেবাশিস মান্না, খেজুরি থানার বালিচক গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাঁশগোড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছ থেকে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। মৃতের বাবা মুক্তিপদ মান্না সক্রিয় বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবে এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ দেখছে গেরুয়া শিবির। প্রকৃত তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। পুলিশের দাবি, ওই যুবক কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। গত কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তোলেন দেবাশিস৷ বাড়িতে ৬ হাজার টাকা দেন। নিজের হাত খরচের জন্য আরও ৪ হাজার টাকা দেন। কলকাতা থেকে কাজ ছেড়ে আসার জন্য ছেলেকে বকাবকিও শুরু করে তাঁর পরিবার। পারিবারিক অশান্তিতে ওই বিজেপি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব সঠিক তদন্তের দাবিতে সরব। খেজুরি বিজেপি নেতা তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দলুই বলেন, “ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা, তা তদন্তের দাবি জানাই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যেভাবে তৎপরতা দেখাল তাতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে৷ কারণ, কয়েকদিন আগে ওই যুবক নিখোঁজ ছিল। তারপরেই দেহ উদ্ধার হয়। কাশীপুরের (Cossipore) মতো এই ঘটনা৷ তাই তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে৷”
যদিও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল৷ খেজুরির তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখব। তবে বিজেপি অহেতুক এসব নিয়ে রাজনীতি করছে৷” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.