অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: বিজেপি (BJP) কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় ফের নাম জড়াল তৃণমূলের। এই ঘটনার পর থেকেই থমথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসমি গ্রাম। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
বুধবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন (Dantan) থানার চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসমি গ্রামে বিজেপির দলীয় কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সকাল থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাতে বাধা দেয়। তবে বাধা অগ্রাহ্য করে বুধবার রাতে দলীয় কর্মসূচির আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। তাতে যোগ দেন বিজেপি কর্মী পবন জানা। অনুষ্ঠান শেষে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। পবনকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ।
পবন গুরুতর জখম হন। এই সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলেরই ৬ জন করে মোট বারোজন জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে পবনের চোট ছিল অত্যন্ত গুরুতর। তাই তাঁকে কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয় পবনের। দেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে শনিবার। সেদিনই হবে শেষকৃত্য। ওইদিনই কুসমি গ্রামে বিজেপি কর্মীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার কথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা গেরুয়া শিবিরের এক কর্মীরা ‘খুন’ করলেও, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দাঁতন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতাকর্মীরা। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিজেপি সভাপতি সমীর দাস। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে একজন তৃণমূল কর্মী-সহ মোট ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.