বিক্রম রায়, কোচবিহার: সংশোধনাগারে থাকাকালীন মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। এই ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহারের গোসানিমাড়ি। নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ জেলা পুলিশ সুপার। তাঁর দাবি, সংশোধনাগারে থাকাকালীন কোনও অভিযুক্তকে মারধর করা হয় না। তাই পরিবারের দাবির কোনও অর্থই নেই।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ ডিসেম্বর। ওইদিন বইমেলা থেকে ফিরছিলেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। অভিযোগ, সেই সময় গোসানিবাড়ির কাছে তাঁর উপর বেশ কয়েকজন হামলা চালায়। তাঁর গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। মোট ৫০ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যেই ছিলেন রামপ্রসাদ বাড়ুই। হামলার ঘটনার পরের দিনই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। দিনহাটা সংশোধনাগারেই ছিলেন বছর ছেষট্টির রামপ্রসাদ বাড়ুইকে। ৯ জানুয়ারি সংশোধনাগারেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চিকিৎসার পর ১১ জানুয়ারি সুস্থ হয়ে যান ওই বিজেপি কর্মী। হাসপাতাল থেকে তাকে কোচবিহার সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা করা হয় তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সোমবার ভোররাতে মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর। যদিও নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার চিকিৎসকের দাবি মানতে নারাজ। পরিবর্তে তাঁদের অভিযোগ, সংশোধনাগারে থাকাকালীন রামপ্রাসাদ বাড়ুইয়ের উপর অত্যাচার করে পুলিশ। তাতেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সুপারও নিহতের পরিবারের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, “সংশোধনাগারে থাকাকালীন কাউকে মারধর করা সম্ভব নয়। তাই পরিবারের দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন।” এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.