রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিজেপিকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ই তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ জানার হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। এরপর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই বিশ্বজিৎ জানার গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন স্থানীয়রা। দেহ আগলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ জানার সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল মৃত বাসুদেব মাজির। অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বাসুদেবকে মারধর করে বিশ্বজিৎ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে পটাশপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কিছুদিন তমলুক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। এরপর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। পরে বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বাড়িতে জড়ো হন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। বাসুদেব মাজির দেহ নিয়ে হাজির হন মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ জানার বাড়ির সামনে। অভিযুক্তের বাড়ির উঠোনে দেহ রেখে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান উপস্থিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ জানা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে অভিযুক্তকে। প্রয়োজনে বিশ্বজিতের বাড়ির সামনেই মৃত দলীয় কর্মীর দেহ সৎকার করা হবে বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের সময় মারামারির ঘটনা ঘটে থাকলে পটাশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ কেন হয়নি প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি তৃণমূলের। পটাশপুর এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তাপস মাজি জানান, মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে বিজেপি মৃতদেহ নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে তা নিন্দনীয়। বিজেপি কতটা নাটকবাজ আজ তা এলাকার মানুষ বুঝতে পেরেছে। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটের সময় মারধরের অভিযোগ তুললেও তখন কেন থানায় অভিযোগ করা হয়নি ? তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাসুদেব বাবুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.