জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: উৎসবের মরশুমে রাজ্যে খুন বিজেপি (BJP) নেতা। এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মারধর করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। যদিও ঘাসফুল শিবির সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।
গত ১২ অক্টোবর হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার হেমনগর কোস্টাল থানার যোগেশগঞ্জের ২৩৪ নম্বর বুথের মঙ্গলচণ্ডী গ্রামে বিজেপির কৃষি আইনের সমর্থনে ও আমফান দুর্নীতির প্রতিবাদে একটি পথসভা হওয়ার কথা ছিল। তবে তা কোনও কারণে বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, ঠিক তার পরেরদিন অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সকালে বিজেপির দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয়। এমনকী বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। লোহার রড, ধারালো অস্ত্র, বাঁশ দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। তাতে পাঁচজন জখম হন। প্রথমে তাঁদেরকে যোগেশগঞ্জ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় প্রত্যেককে। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলচণ্ডী গ্রামের ২৩৪ নম্বর বুথের বিজেপি সহ-সভাপতি বছর রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। তাই তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়। এরপর সোমবার রাতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতাকর্মীদের মারধরের ফলে মারা গিয়েছেন বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। দোষীদের শাস্তির প্রয়োজন।” এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, এ রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীদের শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এমনকী তাঁদের মৃত্যুও হচ্ছে। যার উদাহরণ বাস্তবে দেখা গেল বসিরহাটের প্রত্যন্ত সুন্দরবনে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.