সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর মৎস্যজীবীদের জালে উঠল বিজেপি নেতার দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার পশ্চিম কোয়াবেড়িয়ার বাসিন্দা ছিলেন ওই ব্যক্তি। কালনাগিনী নদীতে মাছ ধরার সময় রবিবার সকালে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে আসে দেহটি।
গত শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ ভেড়িতে গিয়েছিলেন ঢোলাহাট থানার পশ্চিম কোয়াবেড়িয়ার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা কাদের মোল্লা (৬২)। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় খোঁজাখুঁজির পর হদিশ না মেলায় কাদের মোল্লার আত্মীয়রা পরের দিন ঢোলাহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শনিবার রাত পর্যন্তও বেপাত্তা ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে রবিবার সকালে কালনাগিনী নদীতে জাল ফেলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তাঁদের জালেই উঠে আসে বিজেপি নেতার দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নদী থেকে দেহ উদ্ধারের সময় মৃতের দুটি হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। তাঁর মাথায়ও ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে পুলিশ আধিকারিকরা এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কাদের মোল্লাকে খুন করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতার দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিতে হবে খোদ পুলিশ সুপারকে। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার (পশ্চিম) সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, ‘‘কাদের মোল্লা বহুদিন ধরেই বিজেপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ওই এলাকায় ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছিলে বিজেপি। তাই রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভেড়ি সংক্রান্ত কোনও অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পৰ্ক নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.