সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির আরামবাগের গোঘাটের কোটা এলাকায়। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে নয়ানজুলিতে ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
রবিবার সকালে কোটা এলাকায় একটি নয়ানজুলিতে কাশীনাথ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। জানা যায়, সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। কিন্তু দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বাধা পায় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দলের সক্রিয় কর্মী হওয়ার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই ব্যক্তিকে। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দল কোনওভাবেই এহেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বিজেপি অপপ্রচার করতে এসব রটাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই গোঘাটেই খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ ওঠে, ২১ জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার অপরাধেই পিটিয়ে খুন করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে। সূ্ত্রের খবর, সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিজেপি কর্মী কাশীনাথ ঘোষের। তবে কি দলের কর্মীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই এই খুন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মনে। তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই নিহতের প্রতিবেশী-পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.