পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ডাক্তার দেখাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু রাস্তাতেই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন যশোরের পরিতোষ মণ্ডল। প্রায় এক মাস পর স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে বাংলাদেশ গেলেন তিনি। যশোর থেকে তাঁর ছেলে এসে নিয়ে যান তাঁকে। পরিতোষবাবুর স্মৃতি ফেরানোর ক্ষেত্রে যাঁর অবদান, নাকাশীপাড়া নির্মল হৃদয় সমিতির সম্পাদক মোসলেম মুন্সির কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি।
ডাক্তার দেখাতে কল্যাণী এসেছিলেন বাংলাদেশের পরিতোষ মণ্ডল। বাড়ি যশোরের ধানঘাটায়। বয়স ৪৭ বছর। হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল তাঁর। ১২ জুলাই বাড়ি থেকে বের হন তিনি। পথে কোনও দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে হারিয়ে যায় স্মৃতিশক্তি। স্মৃতি মুছে যাওয়ায় নাম ঠিকানা বলতে পারছিলেন না পরিতোষবাবু। তার উপর নির্দিষ্ট গন্তব্য না থাকায় স্থানীয়রা তাঁকে ভবঘুরে মনে করেন। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হওয়ায় তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেন অনেকে। ফলে মারধর জুটতে থাকে পরিতোষের কপালে। খবর যায় পুলিশে। কল্যাণী থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
ঘটনাটি ঘটে ২২ জুলাই। এরপর ২৪ জুলাই পুলিশ পরিতোষকে নিয়ে যায় মোসলেম মুন্সির কাছে। তিনি নাকাশীপাড়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নির্মল হৃদয় সমিতির সম্পাদক। তাঁর শুশ্রুষায় সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন পরিতোষ। পরিতোষের কাছ থেকে তাঁর পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এও জানা যায়, ভারতে তাঁর আত্মীয়রা রয়েছেন। বনগাঁর গোপালনগরে থাকে পরিতোষবাবুর আত্মীয়রা। খবর যায় তাঁদের কাছে। তাঁরা মুন্সির বাড়ি আসেন। খবর দেওয়া হয় যশোরে প্রৌঢ়ের বাড়িতেও। এছাড়া বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাছেও খবর পাঠানো হয়। দু’দেশের মিলিত প্রয়াসে বাড়ি ফেরেন প্রৌঢ়। তাঁর ছেলে সজীব মণ্ডল মোসলেমের বাড়ি থেকে তাঁর বাবাকে নিয়ে যান। সঙ্গে ধন্যবাদও জানান তিনি। বলেন, এপার বাংলার মানুষের সহায়তা তিনি কোনওদিনও ভুলবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.