ছবি: প্রতীকী
বাবুল হক, মালদহ: আগুনের সংস্পর্শে আসায় মোবাইলের ব্যাটারি বিস্ফোরণ। আর তাতেই মৃত্যু হল সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর। শুক্রবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার কানাইনগর গ্রামে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় গ্রামবাসীরা। শিশুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তার পরিবারও।
মৃত শিশুর নাম সুরজ মণ্ডল। বয়স সাড়ে তিন বছর। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল ওই শিশুটি। সেখানে কিছু কাগজ ও বাড়ির জঞ্জাল ফেলে আগুন ধরিয়েছিলেন প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। আর সেই জঞ্জালের মধ্যেই নাকি ছিল মোবাইলের ব্যাটারি। আগুনের তাপে সেটিই ফেটে যায়। সেই বিস্ফোরণে রীতিমতো জখম হয় ওই শিশুটি। গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ শিশুটি রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। এরপরই বাড়ির লোকেরা ওই শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানায়, ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
মৃত শিশুর পিসি রঞ্জনা মণ্ডল বলেন, “বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশী জঞ্জাল ও কাগজে আগুন লাগিয়েছিলেন। আমাদের ধারণা তার মধ্যে বেশ কিছু মোবাইলের ব্যাটারি মজুত ছিল। আগুনের তাপে ওই ব্যাটারিগুলি ফেটে যায়। সেই সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল ছোট শিশুটি। আর তাতেই সে জখম হয়। পরে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। পুরো ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। মোবাইলের ব্যাটারি নাকি জঞ্জালের সঙ্গে অন্য কোনও ধরনের বিস্ফোরক ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরের দিকে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার এলাকায় মসজিদের উলটো দিকের একটি বহুতলা। ওই চারতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলার একটি স্টোর রুমে বিস্ফোরণের পর আগুনে ধরে যায়। ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা তিন-চার জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের দু’টি পা এবং অন্যজনের একটি পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরা। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বাভাবিকভাবেই ভরদুপুরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিস্ফোরণ হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.