Advertisement
Advertisement
আন্ত্রিক

প্রাক শীতেও রাজ্যে আন্ত্রিকের থাবা, প্রাণ গেল ১ জনের

স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতিতেই প্রাণহানি বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

A antrik disease patient dies in West Bengal's Purulia
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 13, 2019 6:18 pm
  • Updated:November 13, 2019 7:17 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রাক শীতেও আন্ত্রিকের থাবা। মৃত্যু হল পুরুলিয়ার গ্রামের এক বাসিন্দা পবিতা মাহাতর। তিনি গত তিন দিন ধরে পেটের অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর ছেলে সুদর্শন মাহাতও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে ওই বৃদ্ধার আন্ত্রিকেই মৃত্যু হয়েছে তা মানতে চাইছে না প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর।

জঙ্গলমহলের বরাবাজার ব্লকের ভাগাবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিপিংডি গ্রামে গত দু’সপ্তাহ আগে থেকে আন্ত্রিক ছড়ায়। অভিযোগ, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দপ্তর কোনও হেলদোল না দেখানোতেই এই রোগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিরিশ। বুধবার সকালে ওই গ্রামের বছর আশির বাসিন্দা পবিতা মাহাতো মারা যান। মৃত্যুর খবর মিলতেই নড়েচড়ে বসে বরাবাজার ব্লক প্রশাসন। জয়েন্ট বিডিওর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলকে গ্রামে পাঠানো হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরাও যান। কীভাবে এই আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে তা বুঝতে পারছে না স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে আতঙ্ক ক্রমশই বাড়ছে।

Advertisement

তবে স্থানীয়দের ধারণা গ্রামে থাকা পুকুর ও তিনটি নলকূপের জল থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে। অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে জলের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই নলকূপের জলই খেতে হচ্ছে। তবে গত মঙ্গলবার দু’টি নলকূপকে কাপড় দিয়ে বেঁধে সেই জল খেতে নিষেধ করেছে ব্লক প্রশাসন। অভিযোগ স্বাস্থ্য দপ্তর দু’বার মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল। মঙ্গলবার আরও নতু্‌ন করে দু’জন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বরাবাজার ব্লক প্রশাসন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। বিডিও শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “ওই গ্রাম থেকে এক মহিলার মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে ওই মহিলা আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে তা নিশ্চিত করে এখনই বলা যাবে না। বৃহস্পতিবার থেকে ওই গ্রামে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর তরফে জলের বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” ওই তিনটি নলকূপের জলের নমুনা আগেই সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি।

[আরও পড়ুন: প্রসবের সময় কুকুরকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নয়া মোড়, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা]

এই রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েকজন ভরতি রয়েছে বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই গ্রামের পুকুরের জলেই বাসিন্দারা গৃহস্থালির নানা কাজকর্মও করে থাকেন। সেখানে গরু-মহিষও স্নান করে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর আন্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার প্রচার করলেও দূষিত পুকুরের জলই ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা।

ছবি: অমিতলাল সিং দেও

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement