Advertisement
Advertisement
করোনা

লকডাউনে সংকটে রাজ্য, খেলনা কেনার টাকা ত্রাণ তহবিলে দিল হাবড়ার খুদে

খুদের উদ্যোগে আপ্লুত পরিবারের সদস্যরা।

A 7-years-old child donate his savings in relief fund
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 4, 2020 12:42 pm
  • Updated:April 4, 2020 12:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের খুদে সদস্য। তাই সকলের একটু বেশিই আদরের। স্বাভাবিকভাবেই আত্মীয়-পরিজন যার সঙ্গেই দেখা হয় কোনও না কোনও উপহার মেলেই। অনেকেই আবার উপহার কেনার জন্য হাতে ধরিয়ে দিতেন টাকা। সাত বছরের খুদে সেই টাকা জমাতো জন্মদিনে খেলনা কিনবে বলে। কিন্তু রাজ্যবাসীর সংকটকালে খেলনা কেনার চেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যে বেশি প্রয়োজন তা বুঝতে পারছিল খুদে। আর সেই কারণেই খেলনা কেনার জন্য জমানো টাকা তুলে দিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।

জানা গিয়েছ, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার পশ্চিম কামারথুবার বাসিন্দা উৎসব রায় নামে ওই খুদে। পরিবারের সদস্যদের কথায়, যে যখন টাকা দিত বরাবরাই তা জমাতো খুদে। পরে জন্মদিনে তা দিয়ে খেলনা কিনত। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। এবারও ঘটে টাকা জমাচ্ছিল সে। এর মধ্যেই করোনা (Corona Virus) থাবা বসায় রাজ্যে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামে রাজ্য। গঠন করা হয় ত্রাণ তহবিল। গোটা পরিস্থিতির জটিলতা না বুঝতে পারলেও টিভি দেখেই উৎসব সকলের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে মা-বাবার কাছে। খেলনার জন্য জমানো টাকা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দিতে চায় বলে জানায় সে। ছেলের মুখে একথা শুনে দ্বিতীয়বার ভাবেননি খুদের বাবা-মা।

Advertisement

habra-2

[আরও পড়ুন: ঘরবন্দিতে একঘেয়েমি? প্রশাসনের নজরদারিতেও আরামে থাকুন ঝাঁ-চকচকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে]

শুক্রবার দুপুরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই হাবড়া থানায় হাজির হন শীলা দেবী। টাকার ঘটটি আইসি-র হাতে তুলে দিতে চায় খুদে ও তাঁর মা। কিন্তু এভাবে টাকা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এরপর পুলিশ আধিকারিকের পরামর্শ মতো একটি ১৫০০ হাজার টাকার চেক তাঁর হাতে তুলে দেয় খুদে। উৎসবের মানবিকতায় মুগ্ধ পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে সকলেই। অত্যন্ত খুশি রায় পরিবার।

[আরও পড়ুন: নেই সংক্রমণের ভয়, তিস্তার চরে নদীঘেরা সবুজ দ্বীপগুলো যেন নিজেরাই কোয়ারেন্টাইন]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement