নন্দন দত্ত, বীরভূম: পণের জন্য লাগাতার চাপ তো ছিলই, বৌদিকে দেওর নিয়মিত কুপ্রস্তাবও দিত বলে অভিযোগ। গুণধর দেওরটি আবার পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। বছর তেইশের এক গৃহবধূর মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের সাইঁথিয়ায়। রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকেই পূজা মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর, খুনের অভিযোগে তুলে পূজা শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। থানায় মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।
[ধুম লেকে তলিয়ে গেলেন বাঙালি গবেষক, রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার দেহ]
জানা গিয়েছে, মাত্র ৬ মাস আগে স্থানীয় দেরপুর গ্রামে বাসিন্দা সুখেন মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পূজার। কর্মসূত্রে দেওঘরে থাকেন সুখেন। তাঁর ভাই ভূপেন সাঁইথিয়া থানা সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, দাদার অনুপস্থিতিতে বৌদি পূজাকে নিয়মিত কুপ্রস্তাব দিত সে। দেওরের কুপ্রস্তাবের রাজি না হওয়ায়ই ওই গৃহবধূর উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ছিল পণের দাবিও। পূজা মণ্ডলের পরিবারের দাবি, বিয়ের সময়ে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও ১৫ ভরি সোনার গয়না দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বাড়ি থেকে টাকার আনার জন্য পূজাকে চাপ দিত শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে, দিন কয়েক আগে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিল পূজা। বাবা-মাকে সবকথা জানিয়েছিল। কিন্তু, বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফের ওই তরুণীকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
[ঘরে দাদার রক্তাক্ত মৃতদেহ, বারান্দায় পায়চারি করছে ভাই]
রবিবারই মিটমাট করার জন্য পূজার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের। কিন্তু, তার আগেই আসে দুঃসংবাদ! সকালে শুশ্বরবাড়ি থেকে পূজার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়েই প্রতিবেশীদের নিয়ে দেরপুর গ্রামে পৌঁছে যান মৃতার বাবা। প্রথমে খুনের অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালান তাঁরা। পরে মৃতদেহ নিয়ে সাঁইথিয়া থানার বিক্ষোভও হয়। পূজার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওর-সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সাইথিঁয়া থানার পুলিশ।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[পাত্রী চাই কিন্তু যৌনসুখ দিতে অক্ষম, সাহসী পাত্রের বিজ্ঞাপনে হইচই]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.