দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ডেঙ্গুর বলি হুগলিরই এক বাসিন্দা। মৃত ভদ্রেশ্বরের সোনু চৌধুরি। বুধবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সোনুর। তরতাজা যুবকের আচমকা মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। একের পর এহেন ঘটনায় ভদ্রেশ্বর পুরসভাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্থানীয়রা।
হুগলির ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়ার বাসিন্দা মৃত সোনু চৌধুরি। স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সে। মৃতের বাবা সত্যনারায়ণ চৌধুরি জানান, ১৬ নভেম্বর হঠাৎই জ্বর আসে সোনুর। চারদিকে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ তাই দেরি না করেই ছেলেকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করান। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাঁরা জানতে পারেন, ওই যুবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এরপরই শুরু হয় চিকিৎসা। বুধবার সকালে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় সোনুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে যেন অবিলম্বে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে সোনুকে নিয়ে কলকাতার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কলকাতার হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই যুবক। কলকাতা না গিয়ে ফের চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ফিরে যান সোনুর বাবা। সেখানেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, সোনুর ডেথ সার্টিফিকেটে চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ করেছেন। সোনুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের প্রশ্ন আদৌ জেলার হাসপাতালে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে কি? থাকলে কেন এই পরিণতি হল যুবকের। পাশপাশি, এই মৃত্যুর জন্য ভদ্রেশ্বর পুরসভাকেও কাঠগড়ায় তুলেছে স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া কার্যত আবর্জনার স্তূপ। নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সেই কারণেই এই পরিণতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.