ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মূক ও বধির ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ উঠল এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানার সোনাপুরে। বেশ কয়েকদিন আগেই গোটা বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছন নির্যাতিতার পরিবার। তবে অভিযোগ জানানোর পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আসানসোলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে সরব বাবুল, ‘বিজেপির বাঁদর’ বলে কটাক্ষ জিতেন্দ্রর]
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির বাসিন্দা বছর উনিশের মূক ও বধির ওই ছাত্রী। নোদাখালির ডোঙারিয়ার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। বাবা পেশায় ভ্যানচালক। সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই ওই ছাত্রীর বাবা-মা লক্ষ্য করেন, সে লুকিয়ে নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছে। মেয়ের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় গত ১৭মে তাঁরা সেই ওষুধ ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান। জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। তা ঢাকতেই সে ওষুধ খাচ্ছে নিয়মিত৷ এরপরই বাবা-মাকে গোটা বিষয়টি জানায় ওই পড়ুয়া।
নির্যাতিতা জানায়, শেখ হাফিজুল নামে স্থানীয় এক যুবক লাগাতার তাকে ধর্ষণ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সে। একথা জানার পর জেলা পরিষদ সদস্য বাপি শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবার। জেলা পরিষদের সদস্যদরা দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভায় বসে। নির্যাতিতা পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, তাঁদের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে বিয়ে করতে হবে হাফিজুলকে। কিন্তু তাতে রাজি হননি হাফিজুলের পরিবারের সদস্যরা। এরপর গত ১১ জুন নোদাখালি থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতার পরিবার।
অভিযোগ, থানায় এফআইআরের পর থেকেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য নিয়মিত ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে শুরু করে অভিযুক্ত শেখ হাফিজুল। এমনকী নির্যাতিতা ছাত্রীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে গত ৩০ জুন স্কুলে যায় ওই পড়ুয়া। অভিযোগ, ওই দিনই অভিযুক্ত যুবক ও তার এক সঙ্গী স্কুলের সামনে থেকেই নির্যাতিতাকে অপহরণ করে। মেয়ের খোঁজ না মেলায় পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও মেয়ের খোঁজ না মেলায় অজানা আতঙ্কে প্রহর গুনছে ছাত্রীর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.