প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: জাল নথির সাহায্যে শ’য়ে শ’য়ে সিমকার্ড বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি পাচার। এই অভিযোগে মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সোমবার ধৃতদের লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তানিয়া সরকার তাঁদের ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে অবশ্য এখনই মুখ খুলতে চাননি মুর্শিদাবাদ থানার আইসি গৌতম মিত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের জেলার সীমন্তবর্তী এলাকা তো বটেই, সেই সঙ্গে জেলার সদর বহরমপুরেও জাল নথি দিয়ে সিমকার্ড বানানোর একটি বড় চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত কম পরিশ্রমে মোটা টাকা রোজগারের হাতছানিতে শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা এই পথ বেছে নিচ্ছে বলে পুলিশের দাবি। সে ক্ষেত্রে কিছু যুবক সামনে সিমকার্ড, মোবাইলের দোকান কিংবা অনলাইনে ব্যবসা খুলে তার আড়ালে চলছে জালিয়াতির ব্যবসা। রবিবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে মুর্শিদাবাদ ও হুগলির বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেয়। সিমকার্ড জালিয়াতি কাণ্ডে হুগলির জাঙ্গিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে সুরেশ দে এবং রমেশ জানাকে।
মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নইমুল ইসলাম ও আবদুল আজিমকে। ভগবানগোলা থানার কাওশার শেখ এবং দৌলতাবাদ থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ কামরুজ্জামান ও দেলোয়ার হোসেনকে জালে নেয় এসটিএফ। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মুর্শিদাবাদ থানার গুধিয়া এলাকার বাসিন্দা আস্তিক মণ্ডলকে। ধৃতরা প্রত্যেকেই জাল নথি দিয়ে সিমকার্ড বানাত বলে পুলিশের দাবি। ওই ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েক শো ভুয়ো সিমকার্ড, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন, জাল নথি-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্র।
জানা গিয়েছে, ওই সব যন্ত্র দিয়ে যেমন জাল নথি বানানোর কাজ করা হত, তেমনই ওটিপি পাচার করা হত দেশের বাইরে। ধৃতরা দেশে ও বিদেশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণার কাজ করত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ওই জালিয়াতির সঙ্গে দেশের গোপন তথ্যপাচার করা হতো কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এবিষয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবী কৌশিক দে বলেন, ‘‘এসটিএফের এক অধিকারিক আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে জাল সিমকার্ড ব্যবহার করে দূর্নীতি করার অভিযোগ এনেছেন মুর্শিদাবাদ থানায়। এসব মিথ্যা অভিযোগ এবং সন্দেহের বসে আমার মক্কেলদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.