বিক্রম রায়, কোচবিহার: শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান শিশুর পরিবারের সদস্যরা। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। তবে এখনও থমথমে হাসপাতাল চত্বর। যদিও মৃতার পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে হঠাৎই পেট ব্যথা শুরু হয় কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা এলাকার বাসিন্দা বছর নয়েকের নন্দিতা ভৌমিকের। বিকেল পর্যন্ত অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সন্ধেয় শিশুটিকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের তরফে। হাসপাতালে ভরতির পর কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়া হয় নন্দিতাকে। অভিযোগ, এরপর থেকেই ক্রমাগত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে শিশুটির। পরিবারের সদস্যরা জানান, নন্দিতার অসু্স্থতার কথা জানানো হলেও চিকিৎসক তো দূর-অস্ত কোনও নার্সেরও দেখা মেলেনি। এভাবেই কাটে গোটা রাত। পরে সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নন্দিতার।
এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, “মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকরা সহযোগিতা করেননি। ওদের গাফিলতির জেরেই আমার মেয়ের এই পরিণতি।” যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, স্বাভাবিক নিয়মেই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল নন্দিতার। কোনও গাফিলতি হয়েছিল বলে জানা নেই। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছিল।” তবে শিশুর পরিবারের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.