সম্যক খান, মেদিনীপুর: শুধু কি চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসার জন্য অর্থদানই মহৎ উদ্যোগ? মোটেই নয়। এর বাইরেও যে মারণ রোগের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করা রোগীদের নানাভাবে সাহায্য করা যায়, তা দেখিয়ে দিল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মেদিনীপুর ক্যুইজ কেন্দ্র নামে ওই সংস্থার প্রধানের জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার গণ চুলদানের অভিনব কর্মসূচি হয়ে গেল সেখানে। নিজেদের লম্বা চুল কেটে তা ক্যানসার (Cancer) রোগীদের জন্য দান করলেন ৮১ জন মহিলা।
মেদিনীপুর শহরের বুকে এই প্রথম এ ধরনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হল। এক এক করে ৮১ জন মহিলা চুলদান করলেন। ওই শিবিরে এসে নিজের মাথার চুল দান করে গিয়েছেন সুদূর গড়বেতার আমলাগোড়া ভেদুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনিন্দিতা মাইতি। তাঁর নিজের শাশুড়িও একজন ক্যানসার রোগী। এদিনের শিবিরে শালবনির গোদাপিয়াশাল থেকে এসে চুল দান (Hair donation) করলেন সর্বকনিষ্ঠ তথা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অদ্রিজা ভুঁইঞা। আবার ৭৩ বছরের কল্যাণী সেনও এগিয়ে এসে নিজের চুল দিলেন মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করা মহিলাদের জন্য। এদিন ছিল রক্তদান শিবিরও। ওই শিবিরে রক্তদান করলেন ১৩৩ জন।
ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার সময় তাঁদের মাথার চুল উঠে যায়। অনেকেই নিজেদের এমন চুলহীন অবস্থায় দেখতে পছন্দ করেন না। বাইরে বেরতেও অস্বস্তি বোধ করেন। তাঁদের এহেন সমস্যা থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংস্থা। তারা বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে মেয়েদের মাথার চুল সংগ্রহ করে তা দিয়ে ক্যানসার রোগীদের নকল চুল পরাতে সাহায্য করে।
এরকমই এক সংস্থা হল মুম্বইয়ের (Mumbai) ‘মদত ট্রাস্ট’। ওই ট্রাস্টকে সহযোগিতা করতেই রবিবার মেদিনীপুর ক্যুইজ কেন্দ্রের সভাপতি রিংকু চক্রবর্তীর জন্মদিনে কর্মসূচি নিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তারা। মৌসম মজুমদার, সুজন বেরা, সুদীপ কুমার খাঁড়াদের উদ্যোগেই রবিবার মেদিনীপুর কলেজের ইগনু ভবনে বসেছিল চুলদান ও রক্তদানের আসর। সংস্থার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক চন্দন বোস, সমাজসেবী আনন্দ গোপাল মাইতি প্রমুখ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.