দেবব্রত দাস, খাতড়া: রান্না চলাকালীন গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ গেল খুলে৷ আর তাতেই বড়সড় দুর্ঘটনা৷ অগ্নিকাণ্ডে আংশিক দগ্ধ হয়েছেন ৭ জন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার হাটগ্রাম এলাকায়। আহতদের মধ্যে চারজন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কীভাবে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ের আবেগ না বুঝে ভোট পাওয়াই লক্ষ্য, অমিত শাহকে খোঁচা মমতার]
বাঁকুড়ার ইন্দপুরের হাটগ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় নন্দী। জানা গিয়েছে, বৃহ্স্পতিবার সকালে রান্না চলাকালীন ওই ব্যক্তির বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপটি হঠাৎই খুলে যায়৷ সেখান থেকে গ্যাস বেরিয়ে আগুনের সংস্পর্শে আসতে অগ্নিকাণ্ড। দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাঁরা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন৷ আর তাতেই দগ্ধ হন ৭ জন। গুরুদাস ভদ্র, তারাশঙ্কর ভদ্র, হারাধন বাগদি, যমুনা নন্দী, পঙ্কজকুমার নন্দী, নরেন নন্দী ও মহুয়া নন্দীর শরীরের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে যায়৷ বালি ও ভিজে বস্তার সাহায্যে আগুন নিভিয়ে সিলিন্ডারটিকে রান্নাঘর থেকে বের করেন স্থানীয়রা। দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাটগ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় নন্দী পেশায় ফুচকা বিক্রেতা। নিত্যদিনের মত এদিন সকালেও গ্যাসে ফুচকা ভাজছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় হঠাৎ গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে পাইপটি আলাদা হয়ে যায়। গ্যাস জ্বলাকালীন পাইপ খুলে গ্যাস বের হতে শুরু করায় আগুন লেগে যায় সিলিন্ডারে। রান্নাঘরেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বিপদ বুঝে রান্নাঘর থেকে আর্তনাদ শুরু করেন ধনঞ্জয়। তাঁর চিৎকার শুনে পাশের ঘর ছুটে যান তাঁর মেয়ে ও প্রতিবেশীরা। আগুন নেভাতে গিয়ে লেলিহান শিখায় দগ্ধ হন ৭ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ৪ জন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খাতড়া মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.