রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নিষেধাজ্ঞা না মেনে দিঘার সমুদ্রে নামায় গ্রেপ্তার সাতজন পর্যটক৷ শনিবার দুপুরে পুলিশের বারণ না মেনে সমুদ্র নামে ওই সাতজন৷ প্রবল জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও নুলিয়ার তৎপরতায় ডুবতে ডুবতে কোনওক্রমে রক্ষা পান ওই ৭ জন৷ সুস্থ হওয়ার পরেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের৷ আপাতত পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন প্রত্যেকে৷
বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে থাকে দিঘা৷ আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা৷ কখনও উদাসীনতা আবার কখনও বা মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নেমে তলিয়ে যান বহু পর্যটক৷ কপালের জোরে কেউ কেউ কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন৷ আবার কারও কারও প্রাণহানিও হয়৷ যদিও পর্যটকদের উপর সব সময়ই কড়া নজরদারি চালায় পুলিশ৷ কে মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নামছেন আর কে-ই বা গভীর সমুদ্রে চলে যাচ্ছেন, সেদিকে সবসময় নজর রাখছে পুলিশ৷ এই নজরদারি এড়িয়েই শনিবার গভীর সমুদ্রে চলে যায় সাতজন পর্যটক৷ প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ওই পর্যটকদের তলিয়ে যেতে দেখেই চিৎকার শুরু করেন অন্যান্য পর্যটকরা৷ নুলিয়া ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান৷ এরপর প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়৷ জলের তোড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাতজনই৷ সুস্থ হলে, একে একে সাতজনকেই গ্রেপ্তার করে দিঘা থানার পুলিশ৷ এই পর্যটকরা আদৌ মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নেমেছিলেন কী না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ এর আগে শুক্রবারও একই অভিযোগে ছ’জন পর্যটককে গ্রেপ্তার করা হয়৷
এদিকে, শনিবার সকালে বাসে করে নদিয়া থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে দিঘায় আসে চার কিশোর৷ সমুদ্রের পাড়ে বসিয়ে রেখে হোটেলের সন্ধানে গিয়েছিলেন তাদের বাবা-মা৷ সেই সুযোগে সমুদ্রে নেমে পড়ে তারা৷ জলের তোড়ে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল চার জনেরই৷ নুলিয়ারাই চার কিশোরকে উদ্ধার করে৷ দিঘা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের৷ পরে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় চারজনকে৷ কেন এভাবে কিশোরদের সমুদ্রের পাশে ছেড়ে রেখে গেলেন, তা নিয়ে ধমকও দেওয়া হয় অভিভাবকদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.