শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ফাঁকা বাড়ির সুযোগে একরত্তি কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন। কুকীর্তি ঢাকতে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হল দেহ। এমনই অভিযোগে তোলপাড় জলপাইগুড়ির গোমস্তপাড়া।
[অকেজো দুই হাত, পা দিয়েই লিখে তাক লাগাচ্ছে ‘বিস্ময় বালক’]
মৃতের নাম পল্লবী দত্ত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছয় বছরের এই কিশোরী ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে একাই ছিল। অভিযোগ এই সময়ই তার ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়। পল্লবীর ভাই দীপ জানায় সে ঘরে শুয়েছিল। ঘুম ভেঙে দেখে দিদি সিলিংয়ে ঝুলছে। তাকে দেখতে পেয়ে একজন বাড়ির বাইরে চলে যায়। এর কিছুপরেই তাঁর মা বাড়িতে আসে। ছেলের মুখ থেকে এমন কথা শুনতে পেরে ভেঙে পড়েন পল্লবীর মা। কোতয়ালি থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের পাঠায়। এরপরই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। ময়নাতদন্তের সময় মৃতের যৌনাঙ্গে রক্ত দেখে আঁতকে ওঠেন পল্লবীর মামি স্বপ্না রায় এবং বাবা বাবু দত্ত। তাঁরা অভিযোগ করেন যৌন হেনস্তার পর পল্লবীকে খুন করা হয়। এমন মৃতের শরীরে হাত ছাপ মিলেছে বলে মৃতের পরিবার দাবি জানায়। এরপর দেহটি পরীক্ষার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[‘সংঘ পরিবারের সদস্যরা খুন হলে উদারপন্থীরা নীরব থাকেন কেন?’]
জলপাইগুড়ির গোমস্তপাড়া এলাকার স্থানীয় এক বাংলা মাধ্যম স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত পল্লবী। ছটফটে মেয়েটির ওপর নারকীয় অত্যাচার এবং মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবেশীরা চমকে গিয়েছেন। দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মৃতের পরিবার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.