দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্রকৃতির রোষে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। সেখানেই আটকে বাংলার বহু পর্যটক। তাঁদের মধ্যেই রয়েছে উত্তরপাড়ার মাখলার একই পরিবারের মোট ৬ জন। নেই পর্যাপ্ত খারাপ, বিদ্যুৎ। কীভাবে বাড়িতে ফিরবেন, সেই চিন্তায় কুলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা।
জানা গিয়েছে, হুগলির উত্তরপাড়া মাখলার বাসিন্দা ওই পরিবার। দুর্গাপুজোর নবমীর দিন উত্তরপাড়া থেকে মমি ঘোষ ও তাঁর পরিবার রওনা দেন লখনউয়ের উদ্দেশে। সেখান কাঠগোদাম হয়ে ১৬ অক্টোবর সড়ক পথে তাঁরা পৌঁছন কৌশানিতে। এক রাত কৌশানিতে কাটিয়ে পরের দিন যান বিনসর। এপর্যন্ত সবটা ঠিকই ছিল। বিনসর পৌঁছনোর পর থেকেই ক্রমশ খারাপ হতে থাকে আবহাওয়া। সেই থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাড়া করে বেড়াচ্ছে গোটা পরিবারকে।
ওই পর্যটকরা জানিয়েছেন, তাঁরা যেখানে রয়েছেন, চারিদিকে ধস নেমে সব রাস্তা বন্ধ। গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। খাবারের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। কীভাবে বাড়ি ফিরে আসবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি জানিয়েছে ওই পরিবার। শুধু ওই পরিবার নয়, উত্তরাখণ্ডে আটকে হুগলির আরও পর্যটকরা। চুঁচুড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, স্ত্রী চুমকি ও মেয়ে অন্বেষা, চন্দননগরের সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ও অরিজিৎ শীল-মোট ৫ জন ১১ অক্টোবর হাওড়া থেকে রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশে। ১২ অক্টোবর দিল্লি পৌঁছে সেখান থেকে সড়কপথে হরিদ্বার পৌঁছন। হরিদ্বার থেকে রুদ্রপ্রয়াগ, শোনপ্রয়াগ হয়ে ১৫ অক্টোবর গৌরীকুণ্ডে পৌঁছন তাঁরা। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে কেদারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১৬ অক্টোবর কেদার যাওয়ার পথে মাঝে রাত কাটান।
১৭ তারিখ বিশ্বজিৎবাবু তাঁর পরিবার নিয়ে পায়ে হেঁটে কেদার মন্দিরে পৌঁছে গেলেও অরিজিৎ ও সত্যব্রতবাবু কেদারে উঠতে না পেরে গৌরীকুণ্ডে নেমে যান। কিন্তু কেদার পৌঁছনোর পরই এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন বিশ্বজিৎবাবুরা। পর্যাপ্ত খাবার-জল পাচ্ছেন না তাঁরাও। ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.