Advertisement
Advertisement
হার

নিজেদের বুথেই লজ্জাজনক হার, বিজেপির দাপটে ডাহা ফেল পুরুলিয়ার ৬ বিধায়ক

৬ বিধায়কের মধ্যে চারজনই শাসকদলের, দু’জন কংগ্রেসের৷

6 MLAs on Purulia have been defeated from their own booths

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 2, 2019 9:22 pm
  • Updated:June 2, 2019 9:22 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গড় আগলে রাখা তো দূর অস্ত, গেরুয়া ঝড়ে পুরুলিয়ায় নিজেদের বুথেই হেরে বসে আছেন ছয় বিধায়ক। এই ছয় বিধায়কের মধ্যে চারজনই শাসক দলের। বাকি দু’জন কংগ্রেসের। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ৷ লোকসভা ভোটের ফলাফলে জঙ্গলমহলের এই জেলায় কংগ্রেস–তৃণমূল বিধায়কের এমন বির্পযয়ে মাথায় হাত তাঁদের।

[আরও পড়ুন : বিস্ফোরক চিনতে বিশেষ প্রশিক্ষণ, জঙ্গলমহলে মাও দমনে তৈরি ডগ স্কোয়াড]

নিজেদের বুথে হেরে যাওয়া শাসকদলের ওই চার বিধায়কের মধ্যে রয়েছে রঘুনাথপুরের পূর্ণচন্দ্র বাউরি, কাশীপুরের স্বপন বেলথরিয়া, পারার উমাপদ বাউরি ও জয়পুরের শক্তিপদ মাহাতো। এছাড়া দুই কংগ্রেস বিধায়ক বাঘমুন্ডির নেপাল মাহাতো ও পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এই কংগ্রেস বিধায়কই সবচেয়ে বেশি ভোটে নিজের বুথেই হেরে যাচ্ছেন। ভোটের ব্যবধান ৩০২৷ পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘এটা একেবারে মেরুকরণের ভোট। ধর্ম আর দেশপ্রেম আবেগে ভোট হয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেসের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। এই অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াবই।’ রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি তাঁর নিজের বুথ ২৪৬/৩২ সরবড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২২ ভোটে হেরে যাচ্ছেন। এখানে শাসকদল তৃণমূল ভোট পেয়েছে ৩৭৬টি, সেখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৯৮। কাশীপুরের বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া তাঁর ২৪৪/১৩৫ পঞ্চকোটরাজ হাই স্কুলের বুথে হেরে যাচ্ছেন ১৬ ভোটে। পারার উমাপদ বাউরি ২৪৫/২১৩ মুল্লাডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ২৭২ ভোটে হেরে যাচ্ছেন। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট তিন অঙ্কের সংখ্যাতেও পৌঁছতে পারেনি। এই বুথে শাসকদলের প্রাপ্ত ভোট ৯৭টি। বিজেপি পেয়েছে ৩৬৯টি। জয়পুরের বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতোও নিজের বুথ ২৪১/১৭২ ভোটে হারছেন যাচ্ছেন ৭৮ ভোটে।

Advertisement

বাঘমু্ন্ডির বিধায়ক, বিধানসভার কংগ্রেসের  ডেপুটি লিডার তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো ২৪০/৮২ নম্বর বুথে হেরেছেন ৬৬টি ভোটে। পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় তাঁর ২৪২/ ১৫২ নম্বর বুথে হারছেন ৩০২ ভোটে। এখানে কংগ্রেসের ভোট মাত্র তেইশটি। বিজেপি পেয়েছে ৩২৫টি ভোট৷ বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কংগ্রেসের ভোটও বিজেপিতে চলে গিয়েছে। আসলে, তৃণমূলকে হারাতে হবে –  এই স্লোগানেই এভাবে ভোট হয়েছে।’

[আরও পড়ুন: আমডাঙায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের ধাঁচে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অর্জুন সিংয়ের]

জঙ্গলমহলের এই জেলায় প্রবল গেরুয়া ঝড়ে ছয় বিধায়কের এমন পরিণতি হলেও পুরুলিয়ার বাসিন্দা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী কিন্তু তাঁদের বুথ আগলে রেখেছেন। এই দু’জন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো এবং মানবাজার এক নম্বর ব্লকের সভাপতি তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যান বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু৷ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর ২৩৯/১৬ গাড়াফুসড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে তৃণমূলের লিড রয়েছে ২৯৭ ভোটে। এখানে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৪১৮। বিজেপি মাত্র ১২১টি ভোট পেয়েছে৷ আরেক মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু–র ২৪৩/ ২০২ কাতলাগোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে শাসকদল ৩৫৮টি ভোটে লিড দিচ্ছে৷ এঁদের দু’জনের এমন সাফল্যের সৈনিক কিন্তু জেলা তৃণমূলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন৷ তাঁরা যে নিজেদের বুথে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন, ভোটের ফলাফলে তা স্পষ্ট।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement