Advertisement
Advertisement

Breaking News

lightening

কেউ গিয়েছিলেন চাষে, কেউ বা খেলতে, আর ফেরা হল না ঘরে! রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত ৬

বাজ পড়ে পুরুলিয়ায় জখম হয়েছেন আরও ১২ জন।

6 died in lightening in Bengal | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 21, 2023 6:17 pm
  • Updated:July 21, 2023 6:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: একদিনে রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত্যু ৬ জনের। মৃতদের মধ্যে ৩ জন পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জন পুরুলিয়া এবং ২ জন ময়নাগুড়ির বাসিন্দা। বাজ পড়ে পুরুলিয়ায় জখম হয়েছেন আরও ১২ জন। তাঁরা দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জমির পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন চার-পাঁচজন শ্রমিক। কালো মেঘ ঘনিয়ে ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে দেখে তারা ঠাঁই নিয়েছিলেন আলের ধারে থাকা এক তালগাছের নিচে। আর সেটাই কাল হল তাদের। বাজ পড়ল সেই তালগাছেই। মুহুর্তের মধ‌্যে মৃত‌্যু হল দুজনের। গুরুতর আহত আরও দুজন। তারা বর্তমানে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে মেদিনীপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত দুজনের মধ‌্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে কেশপুরের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোলসোরাপোতা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব‌্যক্তি হলেন খোকন দোলই (৩৪) ও মমতা দোলই (৩০)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, শেখ নূর আমিনের আসল পরিচয় কী?]

আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে চন্দ্রকোণার বান্দিপুর গ্রামে। গরু চড়াতে গিয়েছিলেন তুলসী শী (৫৫) নামে এক মহিলা। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আচমকাই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। বাজ পড়ে মাঠেই মৃত্যু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তুলসীদেবীকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রোজকার মতো এদিন দুপুরে পুরুলিয়ার বরাবাজার থানা এলাকার বনডি গ্রামের মাঠে ক্রিকেট খেলা চলছিল। মাঝেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। খেলা বন্ধ রেখে খেলোয়ার ও দর্শকরা মাঠের ধারে একটি ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই বাজ পড়ে। দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম পালনি মুর্মু (৫৫), সজল প্রামানিক (১৮)। সজল খেলছিলেন। আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মত বেলনির বাড়ি বনডি গ্রামে। সুজলের বাড়ি রাজডি গ্রামে।

[আরও পড়ুন: গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে জোর, পাহাড় নিয়ে দিল্লিতে চাপ বাড়াচ্ছেন গুরুং]

অন্যদিকে জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল কৃষকের। ঘটনায় শোকের শোকের ছায়া নেমে এসেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির আমগুড়ির কন্যা বাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, এদিন জমিতে কাজ করতে গিয়ে ছিলেন কন্যা বাড়ির চাষি নীরেন্দ্রনাথ অধিকারী (৫০)। আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নীরেন্দ্রনাথবাবুকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর ছেলে পবিত্র অধিকারী জানান, এদিন সকালে জমিতে কাজ করতে গিয়েছিল বাবা। আচমকা বাজ পড়ে। গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে আনার পথেই মৃত্যু হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement