ফাইল ছবি।
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এবার বিকৃতকাম ব্যক্তির লালসার শিকার পাঁচ বছরের এক শিশু। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বধূকুলা গ্রামে। নির্যাতিতা নাবালিকা বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।
মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বধূকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রবিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ক্যানিং। একদিনের ব্যবধানে ফের সেই ধর্ষণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায়। জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিকেলে বাড়ির কাছেই একটি মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল বছর পাঁচেকের এক নাবালিকা। সেই সময় ওই মাঠে যায় কুলতলি থানার মেরিগঞ্জের বাসিন্দা সাবির মোল্লা। অভিযোগ, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে মাঠ থেকে নিয়ে যায় ওই যুবক। এরপর এলাকার শ্মশানের যাত্রীনিবাসে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ঘটনার পর সেখানেই তাকে ফেলে রেখেই চম্পট দেয় সে।
বেশ কিছুক্ষণ পর অচৈতন্য ও রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় নির্যাতিতা নাবালিকাকে এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ক্যানিং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সাবির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। একের পর এক ওই একই এলাকায় এহেন ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ক্যানিং পুলিশের ভূমিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.