Advertisement
Advertisement

জতুগৃহ প্লাস্টিক কারখানা, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে ৫ শ্রমিকের খোঁজ

অগ্নিকাণ্ডের দিন কাজে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ওই শ্রমিকরা৷

5 workers of plastic factory missing
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 13, 2019 3:55 pm
  • Updated:February 13, 2019 3:55 pm  

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে ঘোলার প্লাস্টিক চেয়ার তৈরির কারখানা৷ অনেকেই দাবি করেছিলেন, ফরেনসিক টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহের সময়ই দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে৷ বুধবার নিখোঁজ হওয়া শ্রমিকদের নিয়ে রটা গুজব ওড়াল দমকল৷ তাদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে প্রায় বাহাত্তর ঘণ্টা কেটে গেলেও, এখনও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ শ্রমিকদের৷ এদিকে, কারখানা মালিক এবং ম্যানেজার এখনও বেপাত্তা৷ তাদের বিরুদ্ধে নিউ বারাকপুর থানায় দু’টি পৃথক মামলা রুজু করেছে দমকল এবং নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিজনেরা৷ 

[মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও ফাঁস প্রশ্ন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি]

অন্যান্য দিনের মতো সোমবারও ঘোলার প্লাস্টিক চেয়ার তৈরির কারখানায় মোট ৬৯জন শ্রমিক কাজ করছিলেন৷ বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকাই ওই কারখানায় ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শ্রমিকরা৷ তড়িঘড়ি কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা৷ মুহূর্তের মধ্যে গোটা কারখানা দখল করে নেয় আগুনের লেলিহান শিখা৷ একে একে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ দমকলকর্মীদের তৎপরতায় প্রায় ৪৮ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু৷ প্রাথমিক তদন্তে দমকলকর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই কারখানা এভাবে জতুগৃহে পরিণত হয়েছে৷ এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন কারখানার পাঁচজন শ্রমিক৷ তাঁরা হলেন, পল্টু দোয়ারি, সুবোধ রায়, নিত্যানন্দ রায়, মুন্না প্রসাদ এবং সঞ্জীব পারিয়া৷ নিখোঁজদের মধ্যে কেউ কেউ বারো বছর, আবার কেউ কেউ তারও বেশি সময় ধরে এই কারখানায় কাজ করতেন৷ শ্রমিকদের পরিবারের দাবি, ওইদিন পাঁচজনই কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন৷ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে আর তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেননি৷ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতারও অভিযোগ তুলেছে নিখোঁজদের পরিবার৷ ধ্বংসস্তূপের ভিতরেই ওই শ্রমিকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷

Advertisement

[মৌসমের সংবর্ধনা মঞ্চ ভাঙচুর, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের]

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর খেকেই বেপাত্তা কারখানার মালিক এবং ম্যানেজার৷ দু’জনের বিরুদ্ধে নিউ বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে দমকল এবং অপর অভিযোগ দায়ের হয়েছে নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের তরফে৷ মালিক এবং ম্যানেজারের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷ তবে এখনও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement