শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পাচারের ছক বানচাল। ক্রেতা সেজে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে ৫ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন আগে শিকার করা বাঘের চামড়া ও দেহাংশ বিক্রি করার ফন্দি করছিলেন ওই অভিযুক্তরা। পরিকল্পনামাফিক চলছিল সবকিছু। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না৷ বাঘের চামড়া পাচারের আগেই বনদপ্তরের আধিকারিকদের হাতে গ্রেপ্তার হল পাঁচ অভিযুক্তরা। রবিবার ভোররাতে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের৷
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে অসমের মানস জঙ্গলে একটি বাঘ শিকার করেন পাচারকারীরা। উদ্দেশ্য ছিল, বিদেশে বাঘের দেহাংশ চড়া দামে পাচার করা। পূর্ব পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছিলেন পাচারকারীরা। সেইমতো একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন অভিযুক্তরা। জানা গিয়েছে, মূলত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই এবিষয়ে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তারা। পাঠানো হত ছবি, দর কষাকষিও চলত সেখানেই। গোপন সূত্র মারফৎ বিষয়টি জানতে পেরে গিয়েছিলেন অসম বনবিভাগ এবং বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। এরপরই ক্রেতা সেজে ওই অভিযুক্তদের টোপ দেয় বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
এরপর রবিবার ভোররাতে ক্রেতা সেজে অসম-বাংলা সীমান্তে হানা দেয় অসম বনবিভাগ এবং বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। সেখান থেকেই দুটি গাড়ি আটক করেন তাঁরা। গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে। যদিও এখনও চামড়ার হদিশ পায়নি বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা সকলেই অসমের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, পাচারকারীদের উদ্দেশ্য ছিল, ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নেপালে বাঘের চামড়া ও দেহাংশ বিক্রি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ্অন্যান্যদের সন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাচার রুখতে আন্তঃরাজ্য বনবিভাগের আধিকারিকদের যৌথ উদ্যোগ যে বেশ ফলপ্রসূ হচ্ছে, এই ঘটনাই ফের তা প্রমাণ করে দিল৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.