সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঝালদার পুর রাজনীতিতে আবারও ‘অপহরণ’-র অভিযোগ। গত বুধবার রাতে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঝালদা পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্রকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তাঁর স্ত্রী শ্যামলী চন্দ্র। তিনি বলেন,”ওই যোগদানের দিন স্বামী ঘর থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তখন থেকেই তার মোবাইল অফ। আমার ধারণা তাকে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে। ‘অপহরণ’ করা হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, তারা বরাবর কংগ্রেস করে এসেছেন। দুর্দিনে দলকে পাশে পেয়েছেন। এই দলের সঙ্গেই তারা থাকবেন। একই কথা বলেছেন ওই কাউন্সিলরের মা।
অভিযোগ ওই যোগদানের পর পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে ঝালদা শহরে দেখা গেলেও বাকি চার কাউন্সিলরকে এই শহরে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গত তিনদিন ধরে দেখা যাচ্ছে না। এই কারণেই ‘অপহরণ’ তত্ত্ব সামনে এসেছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ঝালদা শহর তৃণমূল সভাপতি চিরঞ্জীব চন্দ্র। তার কথায়, “এই ধরনের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই । যাঁরা যোগদান করেছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে আসেন। বিরোধীরা অযথা কুৎসা করছেন।” কিন্তু পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো জানান, “ওই কাউন্সিলরকে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে। এই সংস্কৃতি আগে ঝালদায় ছিল না। তৃণমূল এইসব শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবেন।”
এদিন পিন্টু চন্দ্র-সহ তৃণমূলে যোগ দেওয়া চার কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ ছিল। ফলে এই বিষয়ে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পিন্টুর স্ত্রী শ্যামলী দেবী বলেন, “এই বিষয়টি আমি কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরা সমস্ত কিছু দেখছেন বলে জানিয়েছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সেদিন আমরা যাঁরা তৃণমূলে এসেছি তাঁরা নিজেদের ইচ্ছাতেই ঘাসফুলের পতাকা তলে আসেন। তবে ওঁরা এখন কোথায় আছেন আমার জানা নেই।” নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর মিঠুন কান্দুর মতই পিন্টু চন্দ্রের শাসক দলে যোগদানের বিষয়টি ঝালদা পুর শহরের মানুষজনদের কাছে প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ঝুলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.