অর্ণব আইচ: মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান শুরু হতে না হতেই দুর্ঘটনা গঙ্গাসাগরে। গত দু’দিনে মৃত্যু হল চার পুণ্যার্থীর। তাঁদের মধ্যে তিনজনই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে ফেরার পথে মৃত্যু হল নরেন্দ্র পাঞ্চাল নামে এক যাত্রীর। বাসেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর বাড়ি রাজস্থানের বুন্দিতে। গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে এসেছিলেন। স্নান সেরে বাসে করে ফেরা পথে বেহালার কাছে তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে থাকেন নরেন্দ্র। অচেতন অবস্থায় তাঁকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়ে বেহালা থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে ময়দানের গঙ্গাসাগর ক্যাম্পে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা বছর চল্লিশের সুনীতা কৌশল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার বিকেলে ওই একই ক্যাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের ভেতরে রাজকুমার বারি নামে বছর সত্তরের বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসএসকেএমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি মধ্যপ্রদেশের অশোকনগরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এর আগে সোমবার ভোরেই পূণ্যস্নানে যাওয়ার পথে নামখানা ১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে শ্রিংগার রানি নামে মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন
মৃত্যু হয় তাঁর। সব ক’টি মৃত্যু নিয়েই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[গঙ্গাসাগরে মোতায়েন মাইন উদ্ধারে দক্ষ নৌসেনার ডুবুরিরা]
সোমবার সন্ধে ৬টা ৯ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান। তিথি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত তা চলবে। গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রমের মূল উদ্যোক্তা জ্ঞানদাস মোহান্ত জানিয়েছেন, পূণ্যস্নানের সবচেয়ে ভাল সময় ছিল মঙ্গলবার ভোর ৪টে থেকে ৭টা। এই সময়ে তাই পবিত্র স্নানের জন্য জমজমাট ভিড় সাগর সঙ্গমে। সেইমতো নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আঁটসাঁট করা হয়েছে। বিচ বাইক, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিতে রয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঙ্গাসাগরের নিরাপত্তা নিয়ে নজরদারিতে রয়েছেন মন্ত্রী, বিধায়করাও। অন্যদিকে, মকর সংক্রান্তিতে প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় তীর্থযাত্রীদের ভিড়। মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে শাহি স্নান। মোট ১৩ টি আখড়া থেকে সাধুসন্তরা বাদে পূণ্যার্থীরাও ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন পাপস্খালনের লক্ষ্যে। দেশবিদেশ থেকে বহু মানুষের সমাগম ঘিরে জমজমাট প্রয়াগরাজ। নিরাপত্তায় মোতায়েন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অন্তত ১৩ হাজার কর্মী। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মেলা চলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.